বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানোর দাবিতে আদালতে গিয়ে বারবার জয়ী হয়েছেন সরকারি কর্মীরা। তবে বারবারই আগের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। এই আবহে এখনও বকেয়া ডিএ পাননি সরকারি কর্মীরা। এরই মাঝে আবার কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবিতেও আন্দোলন শুরু হয়েছে।
1/5 বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সুর চড়াচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। এই নিয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। এরই মাঝে আদালতে বড় জয় পেয়েছেন আন্দোলনকারীরা। রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটির দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার চাপে পড়েছে। তবে ফের একবার আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করার পথেই হাঁটতে চলেছে নবান্ন।
2/5 উল্লেখ্য, বর্তমানে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ১০ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আর কয়েক দিনেই সেই ডিএ বেড়ে ১৪ শতাংশ হবে। অবশ্য গত ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ ছিল মাত্র ৬ শতাংশ। বড়দিনের সময় মমতা এক দফা ডিএ বাড়ান। যা কার্যকর হয় জানুয়ারি থেকে। আর রাজ্য বাজেট পেশের সময় আরও এক দফায় ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
3/5 এদিকে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়েছে আরও ৪ শতাংশ। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা ৫০ শতাংশের গণ্ডি ছুঁয়েছে। এই বর্ধিত ডিএ কার্যকর হবে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে। এদিকে মে মাস থেকে বাংলার সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে ১৪ শতাংশ হবে। তখনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী এবং রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক থাকবে ৩৬ শতাংশ।
4/5 এই সবের মাঝেই বাংলার সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে জারি আছে আন্দোলন। রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবি, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে রাজ্যের সরকারি কর্মীদেরও। অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, সেই ডিএ-র হার নির্ধারণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ক্ষেত্রে যা হয়ে থাকে। আর এবার নবান্নের সামনে আন্দোলন করতে চায় বাম সরকারি সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি। নবান্নের সামনে আন্দোলনের ছাড়পত্র ইতিমধ্যেই তারা পেয়েছে। কলকাতা হাই কোর্ট সেই অনুমতি দিয়েছে।
5/5 তবে জানা গিয়েছে, নবান্নের সামনে কো-অর্ডিনেশন কমিটির ডিএ আন্দোলন করতে দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। আজ উচ্চ আদালতে সেই মামলাটির শুনানি হবে। এই আবহে নবান্নের সামনে শেষ পর্যন্ত সরকারি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে পারবেন কি না, সেটা নির্ভর করবে আজকের শুনানির ওপরে।