বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > WB LS Election Opinion Poll Analysis: ২৪-এর বাংলায় TMC-কে ছাপিয়ে যাবে BJP! দাবি জনমত সমীক্ষায়, কোন ৫ অঙ্কে তা সম্ভব?
WB LS Election Opinion Poll Analysis: ২৪-এর বাংলায় TMC-কে ছাপিয়ে যাবে BJP! দাবি জনমত সমীক্ষায়, কোন ৫ অঙ্কে তা সম্ভব? Updated: 14 Apr 2024, 08:32 AM IST Abhijit Chowdhury ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সেই সংখ্যা একলাফে বেড়ে হয়েছিল ১৮। আর এবার সেই সংখ্যা নাকি আরও বাড়তে পারে। এমনই ইঙ্গিত একাধিক জনমত সমীক্ষার। যদিও এর আগ ২১-এর বিধানসভা ভোটে বড় ধাক্কা খেয়েছিল বিজেপি। তাহলে কোন অঙ্কে বাংলায় এবার বাজিমাত করতে পারে বিজেপি? 1/7 ২০১৪ সালে বাংলায় মাত্র ২টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। সেই বিজেপি ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গ এবং পশ্চিমের জেলাগুলিতে ঝড় তুলে ১৮টি আসন জিতেছিল পশ্চিমবঙ্গ থেকে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে অবশ্য বিজেপি সেই 'ফর্ম' ধরে রাখতে পারেনি। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২১-এর বিধানসভা ফলের নিরিখে বাংলায় বিজেপি মাত্র ৯টি লোকসভা আসনে এগিয়ে ছিল। তবে বিগত তিনবছরে অনেক কিছুই পালটে গিয়েছে। এই আবহে ২৪-এর ভোটে নাকি বাংলায় ১৯-কেও ছাপিয়ে যেতে পারে বিজেপির ফল। 2/7 নিউজ ১৮ মেগা ওপিনিয়ন পোলে দাবি করা হয়েছে, বাংলায় ২৫টি আসন জিততে পারে বিজেপি। আর তৃণমূল আটকে যেতে পারে ১৭-তে। ইন্ডিয়া টিভি সিএনএক্স জনমত সমীক্ষা দাবি করা হয়েছে, বাংলায় বিজেপি পেতে পারে ২২টি আসন। তৃণমূল জিততে পারে ১৯টিতে। আর সাম্প্রতিক এবিপি সি ভোটারের জনমত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, বাংলায় বিজেপি এবং তৃণমূল উভয় দলই ২০টি করে আসনে জিততে পারে। 3/7 কোন অঙ্কে বাংলায় এবার বাজিমাত করতে পারে বিজেপি? মূলত যে পাঁচটি কারণে বিজেপি বাংলায় তৃণমূলকে পিছনে ফেলতে পারে, তার মধ্যে অন্যতম হল বিরোধীদের ভোট কাটাকাটির অঙ্ক। বাংলায় নিজেদের জমি ধরে রাখতে একা লড়ছে তৃণমূল। এদিকে বাম-কংগ্রেসের জোট সেভাবে জমাট হয়নি। পুরুলিয়ার মতো আসনে বাম সমর্থিত কংগ্রের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। এদিকে আইএসএফ একা লড়ছে। এই আবহে সংখ্যালঘু ভোট ভাগাভাগি হওয়ার আরও প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যা আখেড়ে বিজেপির জন্যেই লাভবান হতে পারে। 4/7 এদিকে বিজেপিকে যে দ্বিতীয় কারণ সাহায্য করত পারে, তা হল সন্দেশখালি কাণ্ড। ভোট প্রচারে প্রথম থেকেই সন্দেশখালি নিয়ে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইডির ওপর শাহজাহান বাহিনীর হামলাকে ছাপিয়ে এখন আলোচনায় মহিলাদের ওপরে 'অত্যাচারের অভিযোগ'। এই আবহে এক নির্যাতিতাকেই বসিরহাট কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। ভোট অঙ্কে বসিরহাটে বিজেপি আটকে যেতে পারে। তবে এই ইস্যু বাকি বাংলায় বিজেপিকে 'সাহায্য' করতে পারে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো যে সব জনমুখী প্রকল্পের কারণে বাংলার মহিলা ভোটাররা মমতার দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে, সেই 'ভোট ব্যাঙ্কে' কিছুটা ফাটল ধরাতেই পারে বিজেপি। 5/7 বিজেপির পক্ষে তৃতীয় কারণটি হতে পারে মোদীর ঝোড়ো প্রচার। এর আগে ২০১৯ সালেও মোদী-শাহের জুটি বারবার বাংলায় এসে প্রচার করে গিয়েছিলেন। যার সুফল পেয়েছিল পদ্ম শিবির। এবারও নির্বাচনী নির্ঘণ্টের শুরু থেকেই একাধিকবার বাংলায় এসে প্রচার করেছেন মোদী। ব্র্যান্ড মোদী যে বাংলায় প্রভাব ফেলতে পারে, তা ২০১৯ সালে দেখা গিয়েছে। বাংলার রাজনীতিতে এমনিতেও ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মার একটি ভিন্ন স্থান আছে। এর দৌলতেই ২০২১ সালে নিজে হেরেও (নন্দীগ্রামে) বাংলায় তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কেন্দ্রের ভোটে হয়ত ফের একবার সেই ক্যারিশ্মা দেখাতে পারেন মোদী। 6/7 এদিকে বিজেপির পক্ষে চতুর্থ 'তুরুপের তাস' তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ। কয়লা, গরু পাচার এখন অতীত। রেশন দুর্নীতি, নিয়োগ দুর্নীতির মতো ইস্যুগুলি সাধারণ মানুষের দীবনকে ছুঁয়ে গিয়েছে। এই আবহে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া বইতে পারে বাংলায়। তবে তা সত্ত্বেও হয়ত দক্ষিণবঙ্গে নিজেদের গড় ধরে রাখবে তৃণমূল। তবে ২১-এ বিজেপির গড়ে তৃণমূল যে ফাটল ধরিয়েছিল, তা হয়ত এবার ফের জুড়ে যেতে পারে পদ্ম শিবিরের জন্যে। 7/7 এদিকে সব শেষে বিজেপিকে সাহায্য করতে পারে সিএএ। যদিও মানুষের মনে এখনও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সংশয় রয়েছে, তাও গেরুয়া শিবির যদি মতুয়া এবং ওপার বাংলা থেকে আসা শরণার্থীদের নিজেদের দিকে টানতে পারে, তাহলে তা তাদের জন্যে লাভদায়ক হবে। তবে এই সিএএ ইস্যুতে বিজেপি নেতাদরই কারও কারও আলটপকা মন্তব্য উলটে তাদের ক্ষতিও করতে পারে। তবে গতবারের মতো এবারও যদি তারা মতুয়া ভোট ধরে রাখতে পারে, তাহলে তৃণমূলকে কড়া টক্কর দিতে পারে বিজেপি।