পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে ১২,০০০ পদে কনস্টেবল নিয়োগের প্রস্তাবে ইতিমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তারপরই সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। আপাতত যা খবর, তাতে একটি কম পরীক্ষা দিয়েই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে চাকরি মিলতে পারে।
1/5 একটি লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমেই রাজ্য পুলিশে ১২,০০০ কনস্টেবল নিয়োগ করা হতে পারে। অর্থাৎ এতদিন যে দুটি পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে রাজ্য পুলিশে নিয়োগ করা হত, সেটার পরিবর্তে একটি লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমেই ১২,০০০ কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হতে পারে। যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে বলে রাজ্য সরকার সূত্রে খবর। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ফেসবুক Bankura District Police)
2/5 আপাতত মূলত চারটি ধাপে রাজ্য পুলিশে নিয়োগ করা হয় - দুটি লিখিত পরীক্ষা, শারীরিক দক্ষতার পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ। প্রথমেই লিখিত পরীক্ষা হয় (প্রিলিমিনারি পরীক্ষা)। সেই পরীক্ষার পরে শারীরিক দক্ষতার পরীক্ষা নেওয়া হয়। তারপর হয় চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় পাশ করলে ইন্টারভিউ হয়। এখন রাজ্যে মহিলা কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রেও সেই চারটি ধাপে পরীক্ষা হচ্ছে। কিন্তু কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষা করতে চাইছে বলে একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ফেসবুক Bankura District Police)
3/5 কিন্তু স্রেফ একটি লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে কেন নিয়োগ করতে চাইছে রাজ্য? সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। সেজন্যই একটি লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তাতে সময় বাঁচবে। দ্রুত হবে নিয়োগ। তবে কীভাবে হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ফেসবুক Bankura District Police)
4/5 এমনিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া যে অনেকদিন সময় লাগে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। রাজ্য পুলিশে যে এখন লেডি কনস্টেবল নিয়োগ করা হচ্ছে, সেটার মূল বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল জারি করা হয়েছিল। প্রাথমিক লিখিত পরীক্ষা হয় ১০ সেপ্টেম্বর। তারপর হয় শারীরিক দক্ষতার পরীক্ষা। আগামী ২১ জানুয়ারি হবে চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষা। তারপর ইন্টারভিউ হবে। প্রশিক্ষণেরও বিষয় আছে।অর্থাৎ সবমিলিয়ে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে সন্তোষ কুমার/হিন্দুস্তান টাইমস)
5/5 সেইসঙ্গে রাজ্য পুলিশে ১২,০০০ কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়ার শেষে একটি চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হবে। সেইসঙ্গে একটি রিজার্ভ তালিকা তৈরি করারও পরিকল্পনা করা হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকার প্রার্থীদের কেউ যদি ট্রেনিংয়ে যোগ না দেন, তাহলে সেই শূন্যস্থান করা হবে রিজার্ভ তালিকা থেকে। ট্রেনিংয়ের কোটা পূরণ হয়ে গেলে ওই রিজার্ভ তালিকার কোনও গুরুত্ব থাকবে না। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ফেসবুক Bankura District Police)