রাজ্যসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে জি২০-র নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যার জেরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তাই ভারত মণ্ডপমে নৈশভোজে যোগ দেননি কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীরা। তবে রাজনৈতিক বিরোধ দূরে সরিয়ে রেখে নৈশভোজে যোগ দিলেন মমতা, নীতীশরা।
1/5 গতকাল জি২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে ভারত মণ্ডপমে আয়োজন করা হয়েছিল নৈশভোজের। ভারতীয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণেই সেই নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। বিদেশি অতিথিদের পাশাপাশি এই নৈশভোজে আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। যদিও তিনটি কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেননি গতকালকের নৈশভোজে। তবে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড সহ একাধির বিরোধী শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা গতকাল যোগ দেন নৈশভোজে।
2/5 বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতিশ কুমার, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেন এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালকে যোগ দিয়েছিলেন নৈশভোজে। মমতাকে গতরাতে হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে ছবির জন্য পোজ দিতে দেখা যায়। সেই সময় সেখানে ছিলেন কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীও।
3/5 এদিকে ভারত মণ্ডপমের ব্রহ্মপুত্র টেবিলে বসে নৈশভোজ করেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। সেখানে ছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা মনোহরলাল খট্টরও। একই টেবিলে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। ছবিতে দেখা যায়, হেমন্তের সঙ্গে কোনও একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন গিরিরাজ। মনোহরলাল খট্টরও সেই কথাবার্তা শুনছেন সেখানে বসে।
4/5 এদিকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে ছবির জন্য পোজ দিতে দেখা যায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকেও। উল্লেখ্য, বর্তমানে বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের সরকারে কংগ্রেসের সমর্থন রয়েছে। কংগ্রেসের অন্তত তিন মুখ্যমন্ত্রী এই নৈশভোজে আসেননি খাড়গেকে আমন্ত্রণ না জানানোর পর। তবে রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে জি২০ নৈশভোজে অংশ নিতে দেখা গেল অ-কংগ্রেসি বিজেপি বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের।
5/5 এদিকে গতকালকের নৈশভোজে অংশ নেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকও গতকালকের নৈশভোজে অংশ নেননি। এদিকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল 'নো ফ্লাইং জোন'-এর যুক্তি খাড়া করে নৈশভোজ এড়িয়ে যান। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীদের দিল্লিতে বিমানে করে আসার ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না।