বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > What Happened to Titanic Sub: মৃত ঘোষণা পাঁচ যাত্রী, টাইটানিক দেখতে যাওয়া ডুবোজাহাজের কী হয়েছিল?
What Happened to Titanic Sub: মৃত ঘোষণা পাঁচ যাত্রী, টাইটানিক দেখতে যাওয়া ডুবোজাহাজের কী হয়েছিল? Updated: 23 Jun 2023, 08:25 AM IST Abhijit Chowdhury ১১১ বছর আগে ডুবে যাওয়া টাইটানিক দেখতে নিয়ে যেত 'ওসেন গেট' সংস্থার ডুবোজাবহাজ টাইটান। শতাব্দী প্রাচীন জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া সেই সাবমেরিনই পরিণত হয়েছে ধ্বংসাবশেষে। সেই ডুবোজাহাজে থাকা পাঁচ ধনকুবের যাত্রীকেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কী হয়েছিল টাইটান সাবমেরিনের? 1/5 রবিবার পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য রওনা দিয়েছিল টাইটান সাবমেরিন। কানাডার পূর্বে নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে থেকে সেই যাত্রার সূচনা হয়েছিল। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে ৬০০ কিমি দূরে অবস্থিত এই নিউ ফাউন্ডল্যান্ড। পরে 'মাদারশিপ' থেকে টাইটান বিচ্ছিন্ন হয়ে সমুদ্রে ডুব দেয়। তবে সেই ডুবের পোনে দু'ঘণ্টা পরই 'মাদারশিপ'-এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় টাইটানের। 2/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, স্থানীয় সময়ে রবিবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ টাইটানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় মাদারশিপের। তবে টাইটানকে উদ্ধার করার জন্য বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট নাগাদ আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ তিন-চার দিন খোঁজাখুঁজির পর মেলে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ। আমেরিকার উপকূলরক্ষা বাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মউগার জানান, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের ১৬০০ ফুট দূরেই পাওয়া গিয়েছে টাইটান সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ। 3/5 মার্কিন উপকূলরক্ষা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ভিতরের দিকে দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে টাইটান। এই দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ব্রিটেনের ব্যবসায়ী হ্যামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানের ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ, তাঁর পুত্র সুলেমান, ওসেনগেট সংস্থার মুখ্য আধিকারিক স্টকটন রাশ এবং ফরাসি নাবিক পল হেনরি নারজিওলেট। উল্লেখ্য, টাইটানে করে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার জন্য মাথাপিছু আড়াই লক্ষ ডলার করে নিয়ে থাকে ওসেনগেট। তবে সেই টাইটানের ঠিক কী হয়েছিল? 4/5 মনে করা হচ্ছে, জলের চাপের কারণে ডুবোযানটি দুমড়েমুচড়ে গিয়েছিল। এমনিতে ওসেনগেটের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, টাইটান সাবমেরিন ৪০০০ মিটার বা ১৩ হাজার ১২০ ফুট গভীর পর্যন্ত যেতে পারে। এদিকে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৮০০ মিটার বা ১২ হাজার ৪০০ ফুট গভীরে। এদিকে সেই গভীরতায় জলের চাপ থাকে ৬০০০ পাউন্ড প্রতি ইঞ্চি। যা একটা বড় হাঙরের কামরের থেকেও দেড় গুণ শক্তিশালী। এদিকে মার্কিন নৌবাহিনী জানাচ্ছে, যেই সময় মাদারশিপের সঙ্গে টাইটানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়, সেই সময়ই তারা একটি জলযানের দুমড়েমুচড়ে যাওয়ার আওয়াজ পেয়েছিল। 5/5 মনে করা হচ্ছে, ডুবোযানটির কোথাও কোনও ধরনের ছিদ্র বা চিড় থাকলে ওই গভীরতায় জলের চাপে তা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এই জলের চাপে যাত্রীদেরও সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু অনিবার্য। এর আগে ২০১৮ সালে টাইটানের 'ত্রুটি' নিয়ে মুখ খুলে চাকরি হারিয়েছিলেন ওসেনগেট সংস্থার মেরিন অপারেশন বিভাগের ডিরেক্টর ডেভিড লকরিজ। ৬.৭ মিটার লম্বা এই ডুবোযানটির ধ্বংসাবশেষ এখন উদ্ধার করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যাত্রীদের মৃতদেহ উদ্ধার নিয়েও ধন্দ রয়েছে।