বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > England, UK and Great Britain Difference: কোনটা ইংল্যান্ড, কোনটা ইউকে, কোনটাই বা গ্রেট ব্রিটেন? ঠিক ২ মিনিটে বুঝে নিন
England, UK and Great Britain Difference: কোনটা ইংল্যান্ড, কোনটা ইউকে, কোনটাই বা গ্রেট ব্রিটেন? ঠিক ২ মিনিটে বুঝে নিন Updated: 26 Oct 2022, 07:22 PM IST Suman Roy Difference between England, Great Britain and UK: ইংল্যান্ড, ইউনাইটেড কিংডম, গ্রেট ব্রিটেন— কোনটা কী? অনেকের কাছেই হয়তো ধারণা পরিষ্কার নয়। এই প্রতিবেদন থেকে সেই ধারণা পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে। তাও ঠিক ২ মিনিটে। 1/13 কখনও বলা হয় ইংল্যান্ড, কখনও ইউকে, আবার কখনও গ্রেট ব্রিটেন। তিনটি আলাদা আলাদা কথা। কিন্তু অনেকেই জানেন না, এই তিনটি আলাদা নামের তাৎপর্য কী, কখন কোনটি ব্যবহার করতে হয়। এই তিনটির মধ্যে রয়ছে বিস্তর ফারাক। 2/13 এই তিনটির পার্থক্য কী? এটি বোঝার জন্য প্রথমেই দেখে নিতে হবে, এই ভৌগোলিক এলাকাটির মানচিত্র। সেটি সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার হয়ে গেলেই, বাকিটা কেল্লাফতে। মাত্র ২ মিনিটেই বুঝে যাবেন এই তিনটি নামের ফারাক। 3/13 মানচিত্রে গোল করে দাগ দেওয়া অংশটি হল ব্রিটিশ আইলস (British Isles)। এর মধ্যে রয়েছে অসংখ্য দ্বীপ। কিন্তু মূল দ্বীপ দুটো। ব্রিটেন (ডানদিকে) এবং আয়ারল্যান্ড (বাঁদিকে) 4/13 এবার ফিরে যাওয়া যাক ১৫০০ খ্রিস্টাব্দে। তখন এখানে ছিল বেশ কয়েকটি সাম্রাজ্য। ব্রিটিশ দ্বীপে ছিল তিনটি সাম্রাজ্য। ১। ইংল্যান্ড, ২। ওয়েলস, ৩। স্কটল্য়ান্ড। আর আয়ারল্যান্ড দ্বীপে ছিল আয়ারল্যান্ড সাম্রাজ্য। এই প্রতিটা সাম্রাজ্যই একে অপরের সঙ্গে লড়াই করত। বিশেষ করে ইংল্যান্ড আর স্কটল্যান্ডের ছিল খুব খারাপ সম্পর্ক। 5/13 মেল গিবসন অভিনীত ‘ব্রেভহার্ট’ ছবিটি হয়তো অনেকের দেখা। সেই ছবির বিষয়বস্তুও ছিল এই ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের লড়াই। এটি যে লড়াইয়ের ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি, সেটি হয়েছিল ১২৯৫ খ্রিস্টাব্দে। 6/13 ১৫৪২ সালে এই ভূখণ্ডে রাজনৈতিক পালাবদল হয়। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের সাম্রাজ্য সিদ্ধান্ত নেয়, তারা একত্রিত হয়ে যাবে। এবং ইংল্যান্ড-ওয়েলস সাম্রাজ্য হিসাবে শাসন করবে। এর পরে ব্রিটিশ দ্বীপে দাঁড়াল দুই সাম্রাজ্য। ১। স্কটল্যান্ড এবং ২। ইংল্যান্ড-ওয়েলস। 7/13 এবার এক লাফে চলে আসা যাক ১৭০৭ সালে। এই সময়ে স্কটল্যান্ড সাম্রাজ্যও ঠিক করে তারা ইংল্যান্ড-ওয়েলস সাম্রাজ্যের সঙ্গে জুড়ে যাবে। ফলে গোটা ব্রিটিশ দ্বীপে তৈরি হল একটি সাম্রাজ্য। সব মিলিয়ে তৈরি হল ‘গ্রেট ব্রিটেন’। 8/13 এবার ১৮০১ সালের পালা। এবার আয়ারল্যান্ডও সিদ্ধান্ত নিল তারাও ঢুকে পড়বে একই দলে। ফলে তারাও এবার জুড়ে গেল। তৈরি হল ‘ইউনাইটেড কিংডম’ বা ইউকে। 9/13 কিন্তু গল্পটা এখানে শেষ হল না। আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে বা ব্রিটিশ দ্বীপের সংস্কৃতিগত পার্থক্য বিরাট। ফলে ১৯২২ সালে আযারল্যান্ডে শুরু হল স্বাধীনতা সংগ্রাম। আয়ারল্যান্ড নিজেদের ইউনাইটেড কিংডম থেকে আলাদা এবং স্বাধীন হিসাবে ঘোষণা করল। কিন্তু তার পরেও উত্তর আযারল্যন্ডের উপর থেকে ইউনাইটেড কিংডম দখলদারি ছাড়ল না। 10/13 ফলে কী দাঁড়াল? উত্তর আয়ারল্যান্ড ইউকে-র অংশ হয়েই থেকে গেল। আর বাকি আয়ারল্যান্ড নিজেদের রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড হিসাবে ঘোষণা করল। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত উত্তর আয়ারল্যান্ডে বার বার স্বাধীনতা আন্দোলন চলেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেটি ইউনাইটেড কিংডমেরই অংশ। এবার আসা যাক, কোনটি কী, সেই প্রশ্নে। 11/13 ১। ইংল্যান্ড কী? ইংল্যান্ড হল ইউনাইটেড কিংডম বা ইউকে-র একটি অংশ। মূলত একটি সাংস্কৃতিক পরিচয়ের নামই ইংল্যান্ড। 12/13 ২। গ্রেট ব্রিটেন কী? ইংল্যান্ড, ওয়েলস আর স্কটল্যান্ড মিলে যে দ্বীপটি রয়েছে, সেটি হল গ্রেট ব্রিটেন। এটি মূলত একটি ভৌগোলিক পরিচয়। এর সঙ্গে শাসনব্যবস্থার কোনও সম্পর্ক নেই। 13/13 ৩। ইউনাইটেড কিংডম কী? ব্রিটিশ দ্বীপের পুরোটা এবং তার সঙ্গে উত্তর আয়ারল্যন্ড মিলিয়ে ইউনাইটেড কিংডম। উপরের মানচিত্রে যেটিকে সাদা রঙে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।