বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Who is Sheikh Shahjahan: 'ভারতীয়ই নন', ট্রেকারের হেল্পার থেকে 'সন্দেশখালির বাঘ', কে এই শেখ শাহজাহান?
Who is Sheikh Shahjahan: 'ভারতীয়ই নন', ট্রেকারের হেল্পার থেকে 'সন্দেশখালির বাঘ', কে এই শেখ শাহজাহান? Updated: 29 Feb 2024, 08:54 AM IST Abhijit Chowdhury রেশন দুর্নীতি মামলায় গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। তবে শাহাজাহান বাহিনীর হাতে হেনস্থা হয়ে হাসপাতালে ভরতি হতে হয়েছিল ইডি কর্তাদের। সেই থেকে বাংলার রাজনীতিতে অন্যতম আলোচ্য নাম হয়ে ওঠেন শাহজাহান। তবে বিগত প্রায় ২ দশক ধরেই এলাকার 'ত্রাস' তিনি। 1/5 শেখ শাহজাহান কে? উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ তিনি। এছাড়াও সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শাহজাহান। এহেন শাহজাহানই নাকি ২০০৩ সালে ছিলেন সন্দেশখালি-সরবেড়িয়া রুটের ট্রেকারের হেল্পার। তবে তাঁর মামা ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। সেই সুবাদে মাছের ভেড়ির ব্যবসায় পা দিয়েছিলেন শাহজাহান। তবে শাহজাহানকে নিয়ে সন্দেশখালিতে শোনা যায় নানা মত। অেকেরই দাবি, শাহজাহান নাকি বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করে এসেছিলেন। 2/5 সন্দেশখালির মাছের ভেড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি প্রথমদিকে নাকি এলাকার গরিবদেরও সাহায্য করতেন শাহজাহান। তখনও তিনি 'ত্রাস' বা 'বাঘ' হয়ে ওঠেননি। বামফ্রন্ট জমানার শেষের দিকে স্থানীয় বিধায়ক অনন্ত রায়ের অত্যন্ত আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন শাহজাহান। সেই সময় থেকেই নাকি কাঠ ও গরু পাচারে হাত পাকিয়েছিলেন। সঙ্গে মানবপাচারেরও অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। 3/5 শাহজাহান নাকি আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৬ সালে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই নাকি দলে এনেছিল তাঁকে। সেই সুবাদে দলীয় পদও জোটে শাহজাহানের কপালে। এর আগে বাম জমানায় বিধায়ক ঘনিষ্ঠ থাকলেও কোনও পদে ছিলেন না। সেই অর্থে তৃণমূলের হাত ধরেই সক্রিয় রাজনীতিতে পদার্পণ শাহজাহানের। ২০১৯ সালের লোকসভ ভোটে সন্দেশখালি থেকে নুসরতকে 'লিড' পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল এই শাহজাহানের। 4/5 এই আবহে গত পঞ্চায়েত ভোটে দলের তরফ থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল শেখ শাহজাহানকে। ভোটে জিতে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ হন তিনি। এরই মাঝে রেশন দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হন বালু। আর প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীনই উঠে আসে শাহজাহানের নাম। সেই সুবাদে সন্দেশখালি গিয়েছিলেন ইডি কর্তারা। তবে শাহজাহান বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল ইডিকে। সেদিন তৃণমূল নেতারা সেই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'ইডির বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান'। 5/5 তবে আসল গণঅভ্যুত্থান তখনও বাকি। ইডি হানার পর থেকেই সন্দেশখালি নিয়ে চর্চা শুরু হয়। এরপরই দেখা যায়, স্থানীয়রা একে একে নানান অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন শাহজাহানের বিরুদ্ধে। জমি দখল, খুন, এমনকী যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে শাহজাহান এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। এই আবহে উত্তম সরদার, শিবু হাজরাদের গ্রেফতার করা হয়। তবে 'সন্দেশখালির বাঘ' এতদিন অধরা ছিলেন। তবে আজ ভোর হতে না হতেই জানা যায়, পুলিশের জালে খাঁচাবন্দি হয়েছেন 'বাঘ'।