প্রথম ম্যাচে হারের পরে বিরাট কোহলি স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে, দলে একজন অল-রাউন্ডারের অভাব রয়েছে। হার্দিক পান্ডিয়া অল-রাউন্ডার হলেও পিঠের চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার পর থকে বোলিং করছিলেন না। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়েও তিনি বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামেন। সিডনিতে প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচেও শুধুমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমে ৯০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি।
ম্যাচের শেষে সংবাদিক সম্মেলনে হার্দিক জানান যে, তিনি নেটে বোলিং শুরু করেছেন। ম্যাচে বোলিং করার মতো পরিস্থিতিতে পৌঁছচ্ছেন ধীরে ধীরে। এসসিজিতে দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচের শুরুতে পান্ডিয়া জানান যে, তিনি টি-২০ সিরিজে বল করতে পারেন, তবে এই ম্যাচে বোলিং করবেন কিনা নিশ্চিত নয়।
যদিও প্রয়োজনের খাতিরে শেষমেশ বল হাতে নিতেই হয় হার্দিককে। আগের দিন পান্ডিয়ার বক্তব্য ছিল যে, পাঁচ জন বিশেষজ্ঞ বোলারে খেলতে নামলে সমস্যায় পড়া স্বাভাবিক। কেননা, চোট-আঘাত ছাড়াও ম্যাচে কোনও এক বোলারের খারাপ দিন যেতেই পারে। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই খারাপ দিন যায় নভদীপ সাইনির।
নভদীপ ৬ ওভারে ৫৫ রান খরচ করেন। ফলে বাধ্য হয়েই বল হাতে নেন হার্দিক। কোহলি অবশ্য মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে দিয়েও এর ওভার বল করিয়ে নেন। তবে তিনি ১ ওভারে ১০ রান খরচ করার পর আর ঝুঁকি নেননি বিরাট।
হার্দিক বল হাতে নিয়েই সাফল্য পান। নিজের তৃতীয় ওভারে তিনি তুলে নেন শতরান করা স্টিভ স্মিথের মূল্যবান উইকেট। জাদেজা ক্যাচ মিস না করলে ল্যাবুশানের উইকেটটিও তুলে নিতে পারতেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভার বল করে ২৪ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন হার্দিক।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।