গত ম্যাচে রান তাড়া করতে গিয়ে শুরুতে পিছলালেও আফিফ হোসেন ও মেহেদি হাসানের ১৭৪ রানের পার্টনারশিপের সুবাদে দুরন্তভাবে আফগানিস্তানকে হারায় বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও মহম্মদ নবিদের বিরুদ্ধে ৮৮ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতে নিল বাংলা টাইগাররা।
চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ওয়ান ডেতে প্রথমে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ব্যাট হাতে তামিম (১২ রান) এই ম্যাচেও ব্যর্থ হন। তবে তাঁর ওপেনিং পার্টনার লিটন দাস এক অনবদ্য ইনিংস খেলেন। আফগানদের বিরুদ্ধে দাপট দেখিয়ে নিজের পঞ্চম ওয়ান ডে শতরানটি করে ফেলেন লিটন (১৩৬ রান)। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের (৮৬ রান) তৃতীয় উইকেটে ২০২ রান যোগ করেন লিটন। মূলত লিটন-মুশফিক জুটির জেরেই ৫০ ওভারে চার উইকেটের বিনিময়ে ৩০৬ রান তোলে ওপার বাংলার দল।
তবে ব্যাট হাতে শাকিব আল হাসান খুব বেশি রান (২০ রান) করতে পারেননি। আফগানদের হয়ে ফজলহক ফারুকি ও রশিদ খান একটি করে উইকেট নেন। ফরিদ আহমেদ পান দুই উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় আফগানরা। আহত রহমানুল্লাহ গুরবাজের জায়গায় ওপেন করতে নেমে মাত্র ১ রানে ফিরে যান রিয়াজ হাসান। হাসমাতুল্লাহ শাহিদি (৫ রান), আজমাতুল্লাহ ওমরজাইও (৯ রান) ব্যর্থ হন। ৩৪ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। তবে চতুর্থ উইকেটে নাজিবুল্লাহ জাদরান (৫৪ রান) ও রহমত শাহ (৫২ রান) ৮৯ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন।
কিন্তু ৩০০-র অধিক রান তাড়া করতে নেমে এত ছোটো ছোটো পার্টনারশিপ কখনই যথেষ্ট ছিল না। পরিণামে ২১৮ রানে অল আউট হয়ে ৮৮ রানে ম্যাচ ও সিরিজ হেরে বসে আফগানিস্তান। ব্যাট হাতে নবি (৩২ রান) ও রশিদ (২৯ রান) কিছুটা চেষ্টা করলেও, কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। বাংলাদেশের হয়ে শাকিব ও তাসকিন আহমেদ দুটি করে উইকেট নেন। মুস্তাফিজুর, মহম্মদুল্লাহ, আফিফ, শরিফুল, মেহেদি, সবাই একটি করে উইকেট পান। এই ম্যাচ জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ফের আইসিসি ওয়ান ডে সুপার লিগের শীর্ষে পৌঁছে গেল বাংলাদেশ। ১০০ পয়েন্টের গণ্ডিও টপকাল টাইগাররা। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের এটি নাগাড়ে ষষ্ঠ ওয়ান ডে সিরিজ জয়।