রবিবার না পাওয়া ট্রফি জয় করে সব আক্ষেপ মিটিয়ে নিল বেঙ্গালুরু এফসি। শুধু বেঙ্গালুরু নয়, সুনীল ছেত্রীর কাছেও এটা বড় প্রাপ্তি। সেই কারণেই ট্রফি জিতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে বিশেষ বার্তা দিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। আসলে সুনীলের বাবা হলেন সেনার এক কর্মী। আর সেই কারণেই সুনীলের কাছে এই ট্রফির গুরুত্ব আর অন্য ট্রফির থেকে একটু আলাদা। তাই তো ট্রফি জিতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ট্রফির সঙ্গে ছবি তুললেন সুনীল ছেত্রী।
সেই ছবি পোস্ট করেট্রফি জয়ের পরে সুনীল ছেত্রী নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখলেন,‘দুই দশকের অপেক্ষার অবসান হল।কিন্তু এর অর্থ যদি বেঙ্গালুরুর নীল জার্সিতে এটি করা হয়,তবে এটি হল প্রতিটি মরশুমের চেষ্টার ফল। ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন - একজন আর্মির সন্তান হিসাবে পেশাদারভাবে ফুটবল খেলতে পারে তবে এটি এতদিন বলার সুযোগ না পেলে লজ্জার হত। কাম অন,বিএফসি!’
ইস্টবেঙ্গল,মোহনবাগান বা মহমেডান আগেই ছিটকে গিয়েছে! সুনীল ছেত্রী,রয় কৃষ্ণদের খেলা দেখতে কিন্তু যুবভারতীতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু ফুটবলপ্রেমী। তাদের সাক্ষী রেখেই বেঙ্গালুরু এফসি ও সুনীল ছেত্রীর অধরা স্বপ্নপূরণ হল। একমাত্র ডুরান্ড কাপটাই ছিল না সুনীলদের সাফল্যের ক্যাবিনেটে। আর সুনীলের কাছেও এই ট্রফিটি ছিল বিশেষ।
এ দিন যুবভারতী স্টেডিয়ামে ডুরান্ড কাপ ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসি-কে ২-১ হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বেঙ্গালুরু এফসি। বেঙ্গালুরুর হয়ে গোল করেন শিবশক্তি এবং অ্যালান কোস্তা। মুম্বইয়ের একমাত্র গোলদাতা আপুইয়া। গ্রুপ পর্বেও অপরাজিত ছিল বেঙ্গালুরু। তবে গত দুই মরশুমে তাদের পারফরম্যান্স হতাশাজনক ছিল। সেই হতাশাই মরশুমের প্রথম ট্রফি জিতে কাটিয়ে উঠলেন সুনীলরা। আইএসএলের আগে বড় অক্সিজেন পেয়ে গেল তারা। ঘরোয়া ফুটবলে আই লিগ,আইএসএল,ফেডারেশন কাপ,সুপার কাপ জিতেছে বেঙ্গালুরু। এএফসি কাপেও রানার্স-আপ হয়েছে তারা। এ বার ডুরান্ড কাপও ঢুকে গেল তাদের ঘরে। স্বপ্ন পূরণ হল বেঙ্গালুরুর।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।