২০০৪ সালে শোয়েব আখতারকে ভয়ডরহীন ভাবে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন লক্ষ্মীপতি বালাজি। যেখানে ভারতের বাকি তাবড় তাবড় ব্যাটাররা গুটিয়ে গিয়েছিলেন। স্পোর্টস কিডা লাইভে একটি চ্যাট চলাকালীন শোয়েব আখতার সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েছেন। এবং বালাজিকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষ বলে অভিহিত করেছেন।
শোয়েব আখতার এবং ভারতের প্রাক্তন স্পিনার হরভজন সিং সেই শো-তে আইপিএলের প্রথম সংস্করণ সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। সেই সময়ে প্রথম আইপিএলে প্রথম হ্যাটট্রিক কে করেছিলেন, হরভজনের কাছে তা জানতে চান শোয়েব। এর জন্য তিনটি নাম দিয়েছিলেন শোয়েব – এল বালাজি, অমিত মিশ্র এবং মাখায়া এনটিনি। ভাজ্জি লেগ-স্পিনার অমিত মিশ্রের নাম বলেন। কিন্তু সেই উত্তর ভুল ছিল। সেটা সংশোধন করে দেন শোয়েব।
পাক তারকা পেসার বলেছিলেন, চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে এই কীর্তিটি রয়েছে বালাজির। যিনি পঞ্জাব কিংসের (পূর্বে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব) ইরফান পাঠান, পীযূষ চাওলা এবং ভিআরভি সিংকে আউট করে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। এবং বালাজিকে 'সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রতিদ্বন্দ্বী' বলে উল্লেখও করেন শোয়েব।
২০০৪ সালে বালাজিই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ওডিআই সিরিজ জিততে ভারতকে সাহায্য করেছিলেন। সেই বছর পাকিস্তানে খেলতে গিয়েছিল ভারত। ওডিআই সিরিজের ফল ছিল ২-২। লাহোরে শেষ ম্যাচে শোয়েবকে নির্ভীক ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন বালাজি। যে কথা আজও ভুলতে পারেননি রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস।
শোয়েব আখতার সেই ঘটনা মনে করেই বলেছেন, ‘সচিনও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছিলেন না। পুরো ভারতীয় দল আমাকে খেলতে পারেনি। কিন্তু এই একজন লোক, বালাজি একেবারে শেষে ব্যাটিং করতে নেমে আমাকে ছক্কা মেরেছিল।’
ভারতীয় ইনিংসের শেষ ওভারে শোয়েবের বলে বালাজির ব্যাট ভেঙে গিয়েছিল। সেই ওভারেই শোয়েবকে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন বালাজি। বালাজি এবং ইরফান পাঠানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপের হাত ধরে ভারত ৭ উইকেটে ২৯৩ রান করেছিল। সেই ম্যাচে ৪০ রানে জয় পেয়েছিল ভারত।
সেই ম্যাচে ৬ বলে ১০ রান করেছিলেন বালাজি। এবং ১২ বলে ২০ রান করেছিলেন পাঠান। দু'জনেই আবার বল হাতে ৩টি করে উইকেট নিয়েছিলেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।