বিশ্বকাপ জয়ের পরই মাঠে এবং ড্রেসিংরুমে লিওনেল মেসির উল্লাসের ছবি এবং ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অবশ্য এরই মাঝে মেসির আরও একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কিংবদন্তি ফুটবলার আবেগঘন মুহূর্তে নিজের মাকে জড়িয়ে ধরছেন। লুসাইল স্টেডিয়ামে মেসির ফাইনাল খেলা দেখতে উপস্থিত ছিলেন মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো, সন্তান থিয়াগো ও মাতেও এবং তাঁর মা সেলিয়া মারিয়া কুকিটিনি। বিশ্বকাপ জয়ের পর মাঠে নেমে আসেন তাঁরা। সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাসে মাতার পাশাপাশি নিজের পরিবারের সঙ্গে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ ভাগ করে নেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার।
বিশ্বকাপ জয়ের পরই মেসির পরিবার মাঠে নেমে আসে। মাঠে নেমে আসেন মেসির খুব প্রিয় বন্ধু তথা প্রাক্তন ফুটবলার কুন আগুয়েরো। ছেলে থিয়াগো এবং মাতেওকে কোলে নিয়ে আদর করতে দেখা যায় মেসিকে। তাদের গালে স্নেহের চুম্বন আঁকতেও দেখা যায় এলএম১০-কে। কুন আগুয়েরো মেসিকে কাঁধে তুলে নেন। ১৯৮৬ সালে মারাদোনার সেই আইকনিক ছবির পুনরাবৃত্তি ঘটে ২০২২ সালের কাতারে। সতীর্থরাও মেসিকে ঘিরেই উল্লাসে মাতেন। আদতে বিশ্বকাপের আগের থেকেই আর্জেন্তাইন ফুটবলাররা বলে এসেছিলেন, এই বিশ্বকাপ তাঁরা মেসির জন্য জিততে চান। ঠিক যেমন ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ধোনিরা জিততে চেয়েছিলেন সচিনের জন্য। আর্জেন্তাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বলেছিলেন, প্রাণ দিয়ে হলেও মেসিকে জেতাবেন তিনি। মার্টিনেজ ঠিক সেটাই করলেন ফাইনালে। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে একটি অবিশ্বাস্য গোল বাঁচান। এরপর শুটআউটেও একটি পেনাল্টি বাঁচান। সবাই যেন মেসির জয়ের জন্যই প্রার্থনা করছিলেন। সেই প্রার্থনা শুনেই ফুটবল ঈশ্বর যেন কাপটা তুলে দিলেন মেসির হাতে।
ফাইনালে দু’টি গোল করা মেসি এই বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল (শ্রেষ্ঠ ফুটবলার) পেয়েছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই ট্রফি উঠল তাঁর হাতে। এর আগে কোনও ফুটবলারই এই ট্রফি দু’বার জিততে পারেননি। ৩৫ বছর বয়সেও বিশ্বকাপে দলের হয়ে প্রতিটি সেকেন্ড খেলেন মেসি। তবে বিশ্বকাপ জয় তাঁর সব ক্লান্তি দূর করে দেয়। হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিশ্বকাপ ওঠার আগেই সেটিকে চুম্বন করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে পেয়েও বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা যায় মেসির মধ্যে। এরপর ড্রেসিংরুমে গিয়ে শিশুসুলভ ভঙ্গিতে নাচতে দেখা গিয়েছে মেসিকে।