বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচে নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রাখল ব্রাজিল। চিলির মাঠে শুক্রবার সকালে চিলির বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয় পেল ব্রাজিল। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করলেন এভেরটন রিবেইরো। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের বদলি হিসাবে মাঠে নেমেছিলেন এভার্টন। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন তিনি। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে উঠেছিল ব্রাজিল বনাম চিলির এদিনের ম্যাচ। দূরপাল্লার শটে গোলের চেষ্টা করছিল চিলি। কিন্তু সেভাবে সেলেকাও গোলরক্ষককে পরীক্ষায় ফেলতে পারছিল না তারা।
২৮তম মিনিটে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন নেইমার। প্রতি-আক্রমণে সুযোগ আসে নেইমারের সামনে। কিন্তু ফাঁকায় বল পেয়েও শট লক্ষ্যের ধারে কাছে রাখতে পারেননি তিনি। পিএসজি ফরোয়ার্ডের সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক ক্লাওদিও ব্রাভো। এর দুই মিনিট পরেই আর্তুরো ভিদালের বুলেট গতির ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে গোল প্রতিহত করেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। ৩৩তম মিনিটের মাথায়া জালে বল পাঠান চিলির ইভান মোরালেস। কিন্তু তিনিই অফসাইডে থাকায় সেই গোল বাতিল করা হয়। প্রায় একই ছন্দে শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধ। গোলের সুযোগ তৈরি করতে ভুগছিল দুই দলই। এর মধ্যেই সুযোগ সন্ধানী রিবেইরোর নৈপুণ্যে ৬৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। নেইমারের শট গোলরক্ষক ব্রাভো ফিরিয়ে দেওয়ার পর ফিরতি শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। সাত ম্যাচে টানা সাত জয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। একই দিনের অন্য ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে ৩-১ গোলে হারানো আর্জেন্তিনা ১৫ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দুই নম্বরে। বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচে শেষ সাত ম্যাচের মধ্যে সাতটিতেই জয় পেল ব্রাজিল।
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের অন্যম্যাচে হারের স্বাদ পেল স্পেন। প্রায় তিন দশক পর সেই তেতো স্বাদ আবার চাখতে হয়েছে তাদের। প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দিল সুইডেন। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জয় পায় সুইডেন। স্পেন এর আগে সবশেষ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে হেরেছিল ১৯৯৩ সালের মার্চে, ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে। মাঝে তারা অপরাজিত ছিল টানা ৬৬ ম্যাচে। যারমধ্যে ৫২টি ম্যাচে তারা জয়ী হয়েছিল ও ১৪টি ম্যাচ তারা ড্র করেছিল।
জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক করেই ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই গোল পান কার্লোস সলের। জর্দি আলবার ক্রসে দূরের পোস্টে হাফ ভলিতে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ভালেন্সিয়ার ২৪ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। পরের মিনিটেই সমতায় ফেরে সুইডেন। ডি-বক্সের বাইরে থেকে শটে গোলটি করেন ইসাক। পরে ম্যাচের ৫৭ মিনিটে ডি-বক্সে এরিক গার্সিয়ার হাতে বল লাগলে পেনাল্টির জোরালো আবেদন করে সুইডেন। তবে রেফারির সাড়া দেননি। পরের মুহূর্তেই বাঁ দিক থেকে দেজান কুলুসেভস্কির বাড়ানো বল ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে গোল করেন ক্লাসেন। এই গোলের সঙ্গে ২৮ বছর পরে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচে হারতে হয় স্পেনকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।