বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে বুধবার এশিয়া কাপের ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো দুই দেশে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এবার পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা যৌথ ভাবে এশিয়া কাপের আয়োজন করবে। ভারত তাদের সব ম্যাচ শ্রীলঙ্কাতেই খেলবে।
পাকিস্তান আবার তাদের দেশে বাছাইপর্বের একটি ম্যাচ খেলবে। যে ম্যাচে তারা নেপালের মুখোমুখি হবে। এছাড়া সুপার ফোরের ম্যাচও খেলবে। মোট চারটি ম্যাচ পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনাল সহ বাকি ন'টি ম্যাচ কলম্বোতে হবে।
ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে হাইভোল্টেজ ম্যাচটি ২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ক্যান্ডিতে। প্রসঙ্গত, ভারত এবং পাকিস্তান- দুই দলই ‘এ’ গ্রুপে খেলবে। এবং এবারের এশিয়া কাপে এই দুই দল সর্বোচ্চ তিন বার মুখোমুখি হতে পারে। ৩০ অগস্ট থেকে শুরু হতে চলা এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই বাবর আজমরা লাহোরে নেপালের মুখোমুখি হবে।
আরও পড়ুন: ICC Test Ranking-এ অশ্বিনের দাপট চলছে, দশের মধ্যে ঢুকে পড়লেন রোহিত, কোহলি কোথায়?
এর দুই দিন পরেই পাকিস্তান ২ সেপ্টেম্বর ভারতের মুখোমুখি হবে। এর পর আবার পাকিস্তান সুপার ফোরের ম্যাচ খেলার জন্য পাকিস্তানে ফিরে যাবে। অবশ্য যদি তারা সুপার ফোরের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে। ফের তাদের শ্রীলঙ্কায় ফিরে আসতে হবে।
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের এই ক্রীড়াসূচি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সলমন বাট। তাঁর দাবি অনুযায়ী, এই ক্রীড়াসূচিতে বাবর আজমরা একেবারেই বিশ্রাম পাবেন না। তাঁদের জন্য খুবই হেকটিক হয়ে যাবে।
সলমন বাট বলেছেন, ‘এটি একটি খুব অদ্ভুত ক্রীড়াসূচি। পাকিস্তানে তাদের প্রথম ম্যাচ খেলছে পাকিস্তান, তার পর দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে যাবে শ্রীলঙ্কায়। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম ম্যাচটি ঘরের মাঠে খেলবে, এবং তাদের দ্বিতীয় ম্যাচটি তারা পাকিস্তানে খেলবে। যদিও মাঝে ৪-৫ দিনের ব্যবধান রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভারত-পাক মহারণ ২ সেপ্টেম্বর, তিন বার মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ, ফাইনাল কলম্বোতে
বাট এশিয়া কাপের এই সূচি মেনে নেওয়ার জন্য পিসিবি-কেও এক হাত নিয়েছেন। তিনি যোগ করেছেন, ‘পাকিস্তান যারা মূলত আয়োজক দেশ, তারা প্রথম দুই ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুই দিনের ব্যবধান পেয়েছে। আমরা কখনও-ই আমাদের খেলোয়াড়দের নিয়ে ভাবি না।’
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি জয় শাহের শেয়ার করা বিবৃতিতে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে, প্রথম রাউন্ডের পরে তাদের অবস্থান নির্বিশেষে পাকিস্তান এ-ওয়ান হিসেবে থাকবে এবং ভারত এ-টু হিসেবে থাকবে। তাদের মধ্যে কেউ যোগ্যতা অর্জন না করলে নেপাল তাদের জায়গা নেবে। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী যদি যোগ্যতা অর্জন করে, তাহলে তাদের সুপার ফোরের লড়াই হবে কলম্বোতে।
একই ভাবে ‘বি’ গ্রুপে শ্রীলঙ্কা থাকবে বি-ওয়ান হিসেবে এবং বাংলাদেশ থাকবে বি-টু। এই দলগুলোর মধ্যে কেউ সুপার ফোরে না উঠলে আফগানিস্তান তাদের জায়গা নেবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।