ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা দূরপাল্লার সাঁতারু তিনি। প্রথম এশীয় মহিলা হিসেবে পার করেছিলেন ইংলিশ চ্যানেল। আর সেই কিংবদন্তি সাঁতারু আরতি সাহার ৮০ তম জন্মবার্ষিকীতে ডুডলের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাল গুগল।
১৯৪০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন আরতি সাহা। মাত্র চার বছর থেকে কাকার সঙ্গে চাঁপাতলার ঘাটে যেতেন। তখন থেকেই জল-সাঁতারের প্রতি প্রবল আকর্ষণ ছিল। মেয়ের উৎসাহ দেখে বাবা পাঁচুগোপাল সাহা হাটখোলা সুইমিং ক্লাবে ভরতি করে দিয়েছিলেন।ভারতের অন্যতম সেরা সাঁতারু শচীন নাগের প্রশিক্ষণে জলে দাপিয়ে বেড়াতে থাকেন ছোট্ট আরতি। কয়েকদিন পর শৈলেন্দ্র মেমোরিয়াল সাঁতার প্রতিযোগিতায় (১১০ মিটার ফ্রি-স্টাইল বিভাগ) সোনা জিতেছিলেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র পাঁচ। দ্রুত আরতি সাহার প্রতিভার খবর দেশের ক্রীড়মহলে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সাঁতারু ডলি নাজিরের সঙ্গে ১৯৫২ সালে হেলসিঙ্কি অলিম্পিকে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ প্রতিনিধিও ছিলেন তিনি।
তারপর ১৯৫৯ সালের অগস্টে প্রথমবার ইংলিশ চ্যানেল পার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন আরতি সাহা। প্রথমবার সেই লক্ষ্য পূরণ না হলেও সাফল্যের জন্য বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। ২৯ সেপ্টেম্বর ইংলিশ চ্যানেল পার করেন। ফ্রান্সের কেপ গ্রিস নে থেকে ইংল্যান্ডের স্যান্ডগেট পর্যন্ত যেতে তাঁর ১৬ ঘণ্টার কিছুটা বেশি সময় লেগেছিল। আর ডুডলে সেই দুঃসাহসিক অভিযানকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
অথচ একটা সময় অর্থের জন্য সেই অভিযান নিয়ে চিন্তায় ছিলেন আরতি সাহা। তাঁর সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়, জওহরলাল নেহরু, প্রফুল্লচন্দ্র সেনের মতো প্রমুখ ব্যক্তিরা। তাঁদের বিশ্বাসের পুরোপুরি মর্যাদা রেখেছিলেন আরতি সাহা। যিনি ১৯৬০ সালে প্রথম মহিলা হিসেবে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।