‘কঠিন পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে জেতাটা বড় পাওনা’, তৃপ্ত স্কটল্যান্ডের জয়ের নায়ক

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে স্কটল্যান্ডে ৫৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছিল। সেখান থেকে গ্রিভসের করা ৪৫, মুন্সের ২৯ এবং ওয়াটের ২২ রানে ভর করে বোর্ডে তারা ১৪০ রান তুলতে সমর্থ হয়।

বাংলাদেশের বিরদ্ধে অসাধারণ লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে গ্রিভসরা।

শুভব্রত মুখার্জি: টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম দিনেই অঘটন। বাংলাদেশি টাইগারদের প্রথম ম্যাচেই ৬ রানে হারিয়ে দিল স্কটল্যান্ড। ম্যাচের দু'দিন আগেই স্কটল্যান্ডের কোচ শেন বার্গার যে ঔদ্ধত্য নিয়ে বলেছিলেন যে তারা পাপুয়া নিউগিনি কিংবা ওমানের মতন দল হিসেবেই বাংলাদেশকেও দেখছেন, সেটা তাঁরা ২২ গজে প্রমাণ করেও দেখালেন। স্কটল্যান্ড কোচের দাবি ছিল, নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেললে বাংলাদেশকে তাঁরা নিশ্চিত ভাবে হারাতে পারবেন। স্কটল্যান্ড অধিনায়ক কোয়েতজারের নেতৃত্বে ছেলেরা ওমানের আল আমিরাত স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে হারিয়ে বাস্তবে সেই কথা রাখলেন বলাই যায়।

ম্যাচ শেষে স্কটদের জয়ের নায়ক ক্রিস গ্রিভসের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘কঠিন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জেতার আনন্দ আলাদা।’ ম্যাচ শেষে সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার নেওয়ার পরে গ্রিভস বলেন, ‘আমরা একটা সময় ভীষণ কঠিন পরিস্থিতিতে ছিলাম। সব সময় পরিস্থিতি তোমার পক্ষেও যায়না। তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জেতার আনন্দটাই আলাদা। আমি খুশি যে আমিই সেই ব্যক্তি যে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। বোর্ডে রান ওঠার পরে আমাদের মাথায় এটাই ছিল যে, বল হাতে লড়াই করার মতন একটা রান আমরা করেছি। এ বার সেটাকে ডিফেন্ড করতে হবে। অসাধারণ ম্যাচ ছিল। দিনটা আমার ছিল। আমি খুশি যে দলের জয়ে আমার ভূমিকা রয়েছে। আশা করি, ভবিষ্যতে এমন আরও অনেক ভাল দিন আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।’

টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশকে হারিয়ে যাত্রা শুরু করল গ্রিভসরা । এই হারের ফলে বাংলাদেশের উপর চাপ বাড়ল বলা যেতে পারে। ওমানের বিরুদ্ধে পরবর্তী ম্যাচ তাদের ক্ষেত্রে নক আউট ম্যাচ বলা যেতে পারে। সেই ম্যাচে হারলেই, বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান কার্যত শেষ হয়ে যাবে। এ দিন প্রথমে ব্যাট করে স্কটল্যান্ড। একটা সময় তাদের স্কোর ছিল ৫৬ রানে ৬ উইকেট। সেখান থেকে গ্রিভসের করা ৪৫, মুন্সের ২৯ এবং ওয়াটের ২২ রানে ভর করে বোর্ডে তারা ১৪০ রান তুলতে সমর্থ হয়।

স্কটিশদের দেওয়া ১৪১ রানের টার্গেট মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ মাত্র ১৩৪ রান করতে সমর্থ হয়। ফলে ৬ রানে পরাজয় স্বীকার করতে হয় টাইগারদের। শাকিব ২০, মুশফিকুর ৩৮, মাহমুদুল্লাহ ২৩ এবং আফিফ হুসেন ১৮ রান করলেও বাংলাদেশকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেননি।