শাহিন আফ্রিদির পা কি ক্রিজের বাইরে ছিল? নো বলে কি কেএল রাহুলকে আউট দেওয়া হয়েছে? ভারত-পাকিস্তান মহারণের মধ্যেই এমনই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভপ্রকাশ করতে থাকেন নেটিজেনদের একাংশ। যদিও ধারাভাষ্যকাররা স্পষ্ট জানিয়েছেন, একেবারেই নো বল ছিল না শাহিনের বল। ক্রিকেটের নিয়ম মেনেই আম্পায়ার নো বল দেননি।
রবিবার দুবাইয়ে ২.১ ওভারে শাহিনের দুর্দান্ত ইনসুইং বলে পরাস্ত হন রাহুল। প্রবল গতিতে শাহিনের বল ভিতরে ঢুকে আসে। যা রাহুলের স্টাম্পকে নাড়িয়ে দেয়। কিন্তু সেই আউটের পর নেটিজেনদের একাংশ দাবি করেন, নো বলে আউট দেওয়া হয়েছে রাহুলকে। ‘প্রমাণ' হিসেবে শাহিনের পায়ের ছবিও পোস্ট করেন অনেকে।
তেমনই এক নেটিজেন টুইটারে লেখেন, ‘কেএল রাহুল আউট ছিলেন না। আসলে এটা নো বল ছিল। এটা কী ধরনের আম্পায়ারিং?’ সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকেও (বিসিসিআই) ট্যাগ করেন। অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘এরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এরকম আম্পায়ারিং একেবারেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। এই বলেই কেএল রাহুল আউট হন।’ একজন তো আবার বলেন, ‘আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্ত ম্যাচের রং পালটে দিল। কেএল রাহুল আউট ছিলেন না।’ কেউ কেউ তো প্রশ্ন তোলেন, আম্পায়ার কি ঘুমোচ্ছিলেন?
যদিও ধারাভাষ্যকাররা সাফ জানিয়েছেন, নো বল করেননি শাহিন। বৈধ বলেই আউট হয়েছেন রাহুল। তাহলে শাহিনের পা বাইরে ছিল কেন? ধারাভাষ্যকারদের বক্তব্য, শাহিন বল করার পায়ের প্রথম ‘ইমপ্যাক্ট’ ক্রিজের ভিতরেই ছিল। সেই প্রথম প্রথম ‘ইমপ্যাক্ট’-কেই নো বলের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয়। প্রথম ‘ইমপ্যাক্টের’ পর স্বাভাবিকভাবেই বোলারের পা এগিয়ে যাবেই। তাই ক্রিকেটীয় নিয়ম অনুযায়ী, শাহিনের বল বৈধ ছিল। নো বল হয়নি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।