আইসিসি ইভেন্টে নিউজিল্যান্ড বরাবর ধারাবাহিক। ওয়ান ডে ও টি-২০, দুই ফর্ম্যাটের শেষ ২টি বিশ্বকাপেই রানার্স হয় তারা। সেই ধারাবাহিকতা কিউয়িরা বজায় রাখে চলতি টি-২০ বিশ্বকাপেও। এবার শুরু থেকে দাপুটে ক্রিকেট খেলে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় দিয়ে এবারের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করা নিউজিল্যান্ড কোন পথে শেষ চারের টিকিট পকেটে পোরে, দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
১. অস্ট্রেলিয়াকে ৮৯ রানে হারিয়ে দেয়: সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচেই আয়োজক অস্ট্রেলিয়াকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। শুরুতে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২০০ রান তোলে। ডেভন কনওয়ে ৯২ ও ফিন অ্যালেন ৪২ রান করেন। হ্যাজেলউড ২টি উইকেট নেন। পালটা ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১৭.১ ওভারে ১১১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ২৮ রান করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৩টি করে উইকেট নেন টিম সাউদি ও মিচেল স্যান্টনার।
২. আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ ভেস্তে যায়: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের সুপার টুয়েলভের ম্যাচ বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত হয়। উভয় দল ১ পয়েন্ট করে ভাগ করে নেয়।
৩. শ্রীলঙ্কাকে ৬৫ রানে পরাজিত করে: প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে ১৬৭ রান তোলে। ১০৪ রান করেন গ্লেন ফিলিপস। ২টি উইকেট নেন কাসুন রজিথা। পালটা ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ১৯.২ ওভারে ১০২ রানে অল-আউট হয়ে যায়। দাসুন শানাকা ৩৫ ও ভানুকা রাজাপক্ষে ৩৪ রান করেন। ৪টি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট।
৪. ইংল্যান্ডের কাছে ২০ রানে পরাজিত হয়: শুরুতে ব্যাট করে ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে ১৭৯ রান সংগ্রহ করে। জোস বাটলার ৭৩ রান করেন। ২টি উইকেট নেন লকি ফার্গুসন। পালটা ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ৬ উইকেটে ১৫৯ রানে আটকে যায়। ৬২ রান করেন গ্লেন ফিলিপস।
৫. আয়ারল্যান্ডকে ৩৫ রানে হারিয়ে দেয়: প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ৬ উইকেটে ১৮৫ রান তোলে। কেন উইলিয়ামসন ৬১ রান করেন। ৩টি উইকেট নেন জোশ লিটল। পালটা ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ড ৯ উইকেটে ১৫০ রান তোলে। ৩৭ রান করেন পল স্টার্লিং। ৩টি উইকেট নেন লকি ফার্গুসন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।