চতুর্থ ওভারেই কাইল মেয়ার্সের সহজ ক্যাচ মিস করেছিলেন রশিদ খান। তখন মেয়ার্সের সংগ্রহ ছিল ২৫ রান। ৩.৫ ওভারে হার্দিকের লো ফুলটসে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছিলেন মেয়ার্স। কিন্তু সহজ ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন রশিদ। তার পরেই হাত খুলে মারতে শুরু করেন মেয়ার্স। সেটার জন্য হয়তো নিজেও অপরাধবোধে ভুগছিলেন রশিদ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে মেয়ার্সের একটি দুরন্ত ক্যাচ নিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করেন রশিদ।
আরও পড়ুন: সেঞ্চুরি হাতছাড়া করে হতাশ, তবে পরের ম্যাচগুলিতে ফের সুযোগ আসবে, আশাবাদী গিল
নবম ওভারে বল করছিলেন মোহিত শর্মা। স্লোয়ার শর্ট বলে মেয়ার্স বড় শট মারতে গিয়েছিলেন। টাইমিং ঠিক ছিল না। ব্যাটের কোণায় লেগে বলটি ডিপ স্কোয়ার লেগের দিকে ক্যাচ ওঠে। বাউন্ডারি লাইনের কাছে ফিল্ডিং করছিলেন রশিদ খান। তিনি বলটি লক্ষ্য করে দৌড়ান। তবে বলের চেয়ে রশিদ কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিলেন। অনেকেই ভেবেছিলেন দৌড়ানো অবস্থায় ক্যাচটি ধরতে পারবেন না রশিদ। কিন্তু তিনি শরীর পিছন দিকে করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ক্যাচটি ধরে নেন। এ বার আর কোনও ভুল করেননি রশিদ। দৌড়ে এসে সেই ক্যাচ নেওয়া নিঃসন্দেহে কঠিন ছিল। তবে দ্বিতীয় বার মেয়ার্সকে জীবনদান দেওয়ার ভুল করেননি তারকা আফগান স্পিনার।
মেয়ার্স ৩২ বলে ৪৮ করে সাজঘরে ফেরেন। লখনউয়ের রান তখন ৮৮। প্রথম উইকেট হারায় তারা। এই ক্যাচ মিস করলে গুজরাটের হারের কারণ হয়ে যেতে পারতেন রশিদ। যাইহোক এই উইকেট নিঃসন্দেহে গুজরাট টাইটান্সের জন্য অক্সিজেন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: এক-আধটা নয়, পুরো টিমের খোলনলচে বদলে দিল লখনউ, দলে পাঁচ পরিবর্তন
সুপার সানডে-তে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে গুজরাট টাইটান্স রানের পাহাড় গড়়ে। গুজরাটের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমন গিলই দলকে বড় রানের লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করেন। দুই ওপেনার শুরুটা পুরো বিধ্বংসী মেজাজে করেন। প্রথম উইকেটে ১৪২ রান করে টাইটান্স। ৪৩ বলে ৮১ করেন ঋদ্ধি। আর শুভমন ৫১ বলে অপরাজিত ৯৪ করেন। এ ছাড়া ১৫ বলে ২৫ করেন হার্দিক। ১২ বলে অপরাজিত ২১ করেন ডেভিড মিলার। ২ উইকেট হারিয়ে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ২২৭ রান করে গুজরাট টাইটান্স।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।