IPL 2021: মইন আলিকে 'জঙ্গি' মন্তব্য, ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের ক্ষোভের মুখে তসলিমা

দু'দিন আগে মইন আলি তাঁর জার্সি থেকে একটি অ্যালকোহল সংস্থার লোগো তুলে নিতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংস কর্তৃপক্ষকে। যেহেতু ইসলামিক ধর্মে অ্যালকোহলের প্রচার করা বারণ, সে কারণেই তিনি এই আর্জি জানিয়েছিলেন।

মইন আলিকে নিয়ে তসলিমা নাসরিনের বিতর্কিত টুইট ঘিরে সমালোচনার ঝড়।

আরও একবার বিতর্কের ঝড় তুললেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি এ বার ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার মইন আলি সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে কাঠগড়ায় উঠলেন। তিনি বলেছেন, ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত না থাকলে নাকি, সিরিয়ায় গিয়ে এই তারকা ক্রিকেটার জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত হতেন। তাঁর এ হেন মন্তব্যের জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

তসলিমা টুইটে লিখেছেন, ‘মইন আলি যদি ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত না থাকতেন, তবে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসআইএস-এ যোগ দিতেন।’ তসলিমার এই কুৎসিত মন্তব্য কেউই ভাল ভাবে নিচ্ছেন না। রীতিমতো ট্রোলডের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশের লেখিকা। প্রত্যেকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ইংল্যান্ডের মইন আলির সতীর্থ  জোফ্রে আর্চার তো তসলিমাকে এক হাত নিয়েছেন। তিনি পাল্টা টুইট করে লিখেছেন, ‘আপনি কি ঠিক আছেন? আমার মনে হয় না আপনি ঠির আছেন’।

 দু'দিন আগে মইন আলি তাঁর জার্সি থেকে একটি অ্যালকোহল সংস্থার লোগো তুলে নিতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংস কর্তৃপক্ষকে। যেহেতু ইসলামিক ধর্মে অ্যালকোহলের প্রচার করা বারণ, সে কারণেই তিনি এই আর্জি জানিয়েছিলেন। তাঁর ভাবাবেগকে সম্মান জানাতে চেন্নাই কর্তৃপক্ষ মইন আলির জার্সি থেকে নির্দিষ্ট ওই সংস্থার লোগো তুলেও নেয়।

বিষয়টি সেখানেই মিটে গিয়েছিল। তসলিমা নাসরিন হঠাৎ করেই সেখানে খোঁচা দিতে গিয়ে উল্টে নিজেই ট্রোলডের শিকার হলেন। টুইটারে একজন তাঁকে লিখেছেন, ‘তসলিমা নাসরিনের নামটি যদি মুসলিম না হত, তবে তিনি নিশ্চিত ভাবে আরএসএসে যোগ দিতেন।’ কেউ বিদ্রুপের ছলে তাঁর সমালোচনা করছেন, কেউ আবার ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন।

বিতর্কের মুখে পড়ে কিছুটা হলেও নিজের অবস্থান থেকে তসলিমা সরে আসেন। তিনি যুক্তি দেন, নিছক কৌতুক করেই মইন আলিকে নিয়ে টুইট করেছিলেন তিনি। তসলিমা আরও একটি টুইট করে লেখেন, ‘যাঁরা নিন্দে করছেন, তাঁরা ভাল করেই জানেন, মইন আলিকে নিয়ে টুইট নেহাৎ-ই কৌতুক করে করা। তবে সকলে মিলে এটাকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছেন, কারণ আমি মুসলিম সম্প্রদায়ের গোঁড়ামির সমালোচনা করেছিলাম। সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা এটাই, নারীবাদী বামপন্থীরাই নারী বিদ্বেষী ইসলাম মৌলবাদীদের সমর্থন করে।’ যদিও জোফ্রে এর পাল্টা জবাব দেন। টুইটে তিনি লেখেন, ‘এটা কৌতুক? এতে কেউ হাসছে না, এমনকী, আপনিও না। আপনি অন্তত টুইটটি ডিলিট করে দিতে পারেন।’

যদিও এখনও পর্যন্ত সেই টুইটের কোনও জবাব দেননি তসলিমা। তবে তাঁর প্রথম টুইটটি ডিলিট করে দেন তসলিমা। তবু বিতর্ক কিন্তু কমছে না। বরং সেটা আরও বাড়ছে। তসলিমার উপর ক্ষোভ উগড়েই চলেছেন নেটিজেনরা।