রবিবার বিকেলের ম্যাচটা দেখে মনে হচ্ছিল, চেন্নাই সুপার কিংস নয়,রবীন্দ্র জাদেজা বানম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরের খেলা হচ্ছে। ব্যাটে, বলে, ফিল্ডিংয়ে একাই বাজিমাত করলেন জাড্ডু। তাঁর বিধ্বংসী মেজাজের সামনে যেন একেবারে চুরমার হয়ে গেল ব্যাঙ্গালোরের সাফল্যের গরিমাটুকুও।
তবে জাদেজার এই পারফরম্যান্সের জন্য এতটুকু কষ্ট হয়নি বিরাট কোহলির। আরসিবি অধিনায়ক হিসেবে হয়তো ম্যাচটা তিনি হেরেছেন। কিন্তু ভারত অধিনায়ক হিসেবে সদ্য তিনি খুশি। চোট সারিয়ে ওঠা জাদেজার এই পারফরম্যান্সই তাঁর কাছে বড় প্রাপ্তির বিষয়। সে কারণেই সিএসকে-র জাড্ডুকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত বিরাট। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলছিলেন, ‘ও হল এমন ক্রিকেটার, যার উপরে আমি অতীতেও ভরসাা করেছি। ওর সেই দক্ষতা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পর, ও আর কোনও ম্যাচ খেলতে পারেনি। তবে ওর ব্যাট, বল, ফিল্ডিং দেখে আমি খুশি। দু'মাস পর ক্রিকেটে ফেরার পর প্রত্যেকেই চাইব, তার দলের সিনিয়র অলরাউন্ডার যেন ভাল ছন্দে থাকে। ভাল পারফরম্যান্স করে। আশা করব ও এ রকম ভাবেই খেলবে। ও যদি আত্মবিশ্বাসী থাকে, ভাল খেলে, সে ক্ষেত্রে শুধু চেন্নাই নয়, ভারতীয় ক্রিকেটেরও সুবিধে হবে।’
চেন্নাই সুপার কিংসের ইনিংসে শেষ ওভারে বল করতে আসেন ব্যাঙ্গালোরের হার্ষাল প্যাটেল। তাঁকে প্রথম চারটি বলে পরপর ছক্কা মারেন জাদেজা, যার মধ্যে তৃতীয় বলটি ছিল নো। সুতরাং, প্রথম ৩ বলে ২৫ রান ওঠে চেন্নাইয়ের। চতুর্থ বলে ২ রান নেন জাদেজা। পঞ্চম বল ফের গ্যালারিতে পাঠান তিনি। শেষ করেন ৪ দিয়ে। পাঁচটি ছয়, একটি চার, দু'রান এবং একটি নো বল হয় এই ওভারে। মোট ৩৭ রান দেন হার্ষাল। জাদেজা করেন ২৮ বলে ৬২ রান। চেন্নাই ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৯১ রান তোলে।
এই রান তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটে ১২২ রানে শেষ হয়ে যায় বিরাটের ব্যাঙ্গালোরের ইনিংস। তারা হেরে যায় ৬৯ রানে। বল হাতে তিন উইকেট নেন জাদেজা। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, এবি ডি'ভিলিয়ার্স সহ ওয়াশিংটন সুন্দরকে ফেরান তিনি। দান ক্রিশ্চিয়ানকে রান আউট করেন। সব মিলিয়ে ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে একাই বাজিমাত করেন রবীন্দ্র জাদেজা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।