দিল্লি ক্যাপিটালস প্ৰথম ম্যাচেই মুম্বইয়ের মত হেভিওয়েট দলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে এ বারের আইপিএল অভিযান শুরু করেছে। আর সেই ম্যাচের নায়ক ছিলেন কুলদীপ যাদব। রোহিত শর্মাদের বিরুদ্ধে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন কুলদীপ। চার ওভার বল করে ১৮ রান দিয়ে তিনি ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।
৩২ বলে ৪১ করে রোহিত শর্মা যখন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন, তখন তাঁকে ফেরান কুলদীপ। এর পর আনমলপ্রীত সিং-কেও (৮) আউট করেন তিনি। তার পর কায়রন পোলার্ডের (৩) উইকেট নেন। মুম্বইয়ের ব্যাটিং অর্ডারের কোমর ভেঙে দিয়ে ম্যাচের সেরা হন কুলদীপ।
অথচ সেই কুলদীপই গত কয়েক মরশুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সে কার্যত ব্রাত্য হয়ে উঠেছিলেন। গত বার তো একটিও ম্যাচে খেলানো হয়নি তাঁকে। শেষ পর্যন্ত চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যান তিনি।
কুলদীপ প্রসঙ্গে সরাসরি কেকেআর-কে এক হাত নিয়েছেন মহম্মদ কাইফ। কেকেআর ওকে ঠিক মতো ব্যবহারই করেননি। স্পোর্টসক্রীড়ায় কাইফ বলেছেন, ‘কুলদীপ যাদব একজন ম্যাচ উইনার। তবে ওকে ঠিকমত ব্যবহারও করতে হবে। ওকে সে ভাবে সুযোগ না দেওয়া হলে অথবা বাদ দিলে, ও কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। দীনেশ কার্তিক এবং ইয়ন মর্গ্যান কেকেআরে ক্যাপ্টেন থাকাকালীন ওর সঙ্গে যা ব্যবহার করা হয়েছে, তা মোটেই প্রত্যাশিত নয়। ম্যাচের পর ম্যাচ স্কোয়াডে নয়, বাড়িতে বসতে বাধ্য করা হয়েছে। এ রকম ব্যবহার করা হলে, যে কোনও ম্যাচ উইনার চাপে পড়বেই।’
বরুণ চক্রবর্তীর উত্থানে কেকেআর-এ পাকাপাকি ভাবে জায়গা হারিয়েছিলেন কুলদীপ। কুলদীপের বদলে সুনীল নারিনের সঙ্গে স্পিনিং পার্টনার হিসাবে নিয়মিত হয়ে ওঠেন বরুণ চক্রবর্তী। গত বছরে একটাও ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি তারকার। চায়নাম্যান বোলার ২০২০ সংস্করণে খেলেছিলেন মাত্র ৫টি ম্যাচে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ক্রমাগত ব্রাত্য হয়ে ওঠার পরে জাতীয় দলেও জায়গা হারান তারকা। এক সময় ভারতীয় স্পিন বোলিং ডিপার্টমেন্টে নির্ভরযোগ্য অস্ত্র ছিলেন তারকা। তবে কেকেআরে গুরুত্বহীন হয়ে ওঠার সঙ্গেই জাতীয় দলেও বাদ পড়েন।
দিল্লি জার্সিতে দুরন্ত খেলে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করবেন কুলদীপ? সেদিকে নজর রাখবে ক্রিকেট মহল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।