দীর্ঘদিন পর আবার রাসেল শো। শুক্রবার ওয়াংখেড়েতে যেন পুনর্জন্ম হল দ্রে রাসের। আগের ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন। শুক্রবার তাঁর খেলা নিয়েই সংশয় ছিল। সেই আন্দ্রে রাসেল শুধু খেললেনই না, ব্যাট হাতে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ঝড় তুলে ম্যাচও জিতিয়ে দিলেন দলকে। বহুদিন পর নিজমূর্তিতে দেখা গেল দ্রে রাসকে। দু’টি চার এবং আটটি ছয়ের সাহায্যে ৩১ বলে ৭০ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি। মাত্র ২৬ বলে অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেন। শুধু তাই নয়, কমলা টুপিও পেয়ে গেলেন রাসেল।
রাসেল তান্ডব দেখার পর বহু দিন বাদে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে নিয়ে নিজের নীরবতা ভাঙলেন শাহরুখ খান। দ্রে রাসে মুগ্ধ শাহরুখ টুইটে লিখলেন, ‘ওয়েলকাম ব্যাক মাই ফ্রেন্ড@Russell12A..বহু দিন পর বল এত উঁচুতে উড়তে দেখলাম!!! আপনি যখন বল মারেন, তখন এটি নিজের জীবন লাগে! এবং @y_umesh কী অসাধারণ! @ShreyasIyer15 এবং পুরো টিম দুরন্ত খেলেছো। রাত্রি শুভ হোক।’ এই বছর এটাই নাইটদের নিয়ে শাহরুখের প্রথম টুইট। গত বারও নিজের আইপিএল দলকে নিয়ে সে ভাবে কোনও উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি কিং খানকে।
কেকেআরের সামনে লক্ষ্যমাত্রা বেশি ছিল না। প্রথমে ব্যাট করে ১৩৭ করেছিল পঞ্জাব কিংস। কিন্তু আচমকাই পর পর কয়েকটি উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল কলকাতা। রাসেল যখন নামলেন, তখন পিচে আগুন ঝরাচ্ছেন রাহুল চাহার। সপ্তম ওভারে তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার এবং নীতিশ রানাকে। তখন ৫১ রানে চার উইকেট হারিয়ে বসে রয়েছে কেকেআর। সেখান থেকে রাসেল সেই যে ছক্কার বন্যা শুরু করলেন, তাঁকে আর গোটা ম্যাচে থামানো গেল না। ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন তিনি।
বিশেষ করে ১২ তম ওভারে ওডেন স্মিথকে পিটিয়ে ৩০ রান করেন রাসেল এবং স্যাম বিলিংস। তার মধ্যে ৩টি ছক্কা এবং ১টি চার রাসেলের, ১টি ছয় বিলিংসের। এ ছাড়া আরও ২ রান হয়েছে। এর পরে ১৪তম ওভারেও ছক্কা হাঁকিয়েছেন রাসেল। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বলে লিয়াম লিভিংস্টোনকে পরপর দু'টি ছক্কা মেরে নাইটদের জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন তিনি। ১৪.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪১ করে কলকাতা। রাসেলের সৌজন্যে ৩৩ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় শাহরুখ খানের কেকেআর।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।