রবিবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহাল। হয়েছেন ম্যাচের সেরা। তবু খেলা চলাকাকালীন মেজাজ হারিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক জুড়তে দেখা গিয়েছে যুজবেন্দ্রকে। এই ঘটনার ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তবে তাঁর এমন রাগের কারণ কী?
এমনিতে ডানহাতি স্পিনারকে বেশ শান্ত প্রকৃতির মনে হয়। কিন্তু লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে বোলিং করার সময় ফিল্ড আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্ত নিয়েই একেবারে কোমরে হাত দিয়ে তর্ক জুড়ে দেন যুজবেন্দ্র।
আসলে লখনউয়ের ইনিংসের ১৮তম ওভারে বল করছিলেন চাহাল। সেই ওভারের পঞ্চম বলটি দুষমন্ত চামিরা মারতে না পারলে, সেটি উইকেটকিপারের হাতে চলে যায়। আর সেই বলটি ওয়াইড দেন ফিল্ড আম্পায়ার। তাতেই ক্ষেপে যান চাহাল। তাঁর দাবি ছিল, বলটি কোনও ভাবেই ওয়াইড ছিল না। শুধু একা যুজি নন, রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকেও রেগে যেতে দেখা যায়। এমন কী আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছেন ধারাভাষ্যকাররাও। কারণ বলটি লাইনের ভিতরেই ছিল।
আসলে সেই সময়ে প্রতিটি বল এবং রান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। বেশি অতিরিক্ত রান দিলে লাভ হবে লখনউয়ের। আর চাপ বাড়বে রাজস্থানের। সেই কারণে যুজবেন্দ্র চাহালকে ক্ষিপ্ত হয়ে এই সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। এবং আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে।
তবে ক্ষুব্ধ চাহাল পরের অতিরিক্ত বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরান দুষমন্ত চামিরাকে। ৭ বলে ১৩ করে এলবিডব্লিউ হন লঙ্কার তারকা। ১৮তম ওভারে ৮ নম্বর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় লখনউ।
এ দিন টসে জিতে রাজস্থান রয়্যালসকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন রাহুলই। প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে। শিমরন হেতমায়ের অপরাজিত ৩৬ বলে ৫৯ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। দলকে তিনিই পৌঁছে দেন ১৬৬ রানের লক্ষ্যে। এ ছাড়া ২৯ বলে ২৯ রান করেছেন দেবদূত পাডিক্কাল। ২৩ বলে ২৮ করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অশ্বিন আবার এ দিন রিটায়ার্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। আইপিএলের ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম ঘটল।
লখনউয়ের জেসন হোল্ডার এবং কৃষ্ণাপ্পা গৌতম ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। আবেশ খান নিয়েছেন ১ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় লখনউ। প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন রাহুল। দলের ১ রানের মাথায় আউট হন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম এবং ১৪ রানের মাথায় আউট হন জেসন হোল্ডার। তার পরেও কিন্তু উইকেট পড়তেই থেকেছে লখনউয়ের। তার মাঝেই কুইন্টন ডি'কক ৩২ বলে ৩৯ রান করেছিলেন। ২৪ বলে ২৫ রান করেছিলেন দীপক হুডা। ১৫ বলে ২২ করেন ক্রুনাল পাণ্ডিয়া। আটে নেমে ১৭ বলে ৩৮ রান করেন মার্কাস স্টোইনিস। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ম্যাচের শেষের দিকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও ৩ রানে হেরে যায় লখনউ। ৮ উইকেট হারিয়ে তারা করে ১৬২ রান।
শেষ ওভারে ১৫ রান দরকার ছিল। কুলদীপ সেনকে বল তুলে দেন সঞ্জু স্যামসন। সেই ওভারে দুরন্ত বোলিং করেন কুলদীপ। ১-০-০-০- প্রথম চার বলে কুলদীপ রান দেন। শেষ দুই বলে ৪ এবং ছক্কা হাঁকিয়েও আর কোনও লাভ হয়নি। কারণ ততক্ষণে ম্যাচ হাত থেকে বের হয়ে গিয়েছে। রাজস্থানের যুজবেন্দ্র চাহাল ৪ উইকেট নেন। ২ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। প্রসিধ কৃষ্ণ এবং কুলদীপ সেন ১টি করে উইকেট নিয়েছেন। মাত্র ৩ রানে ম্যাচটি জিতে যায় রাজস্থান রয়্যালস।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।