শুভব্রত মুখার্জি: চলতি আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দুই দলের পারফরম্যান্স একেবারেই ধারাবাহিক নয়। প্লে-অফের লড়াইয়ে টিমটিম করে কোনও মতে নিজেদের জ্বালিয়ে রেখেছে দুই দল। হায়দরাবাদ ন'টি ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে মাত্র ৩টিতে। অন্যদিকে কেকেআর দশটি ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে চারটিতে। শুক্রবার দুই দলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইতে শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদ দলকে হারিয়ে দিয়েছে কলকাতা। এমন আবহেই দুই দলকে মন খুলে খেলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় তারকা বীরেন্দ্র সেহওয়াগ।
আরও পড়ুন: প্লে-অফে কোন কোন টিম উঠবে? ভবিষ্যদ্বাণী ভাজ্জির, নেই KKR-এর নাম
২০০৭ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের উদাহরণ টেনে দুই দলকে ভয়ডরহীন ভাবে খেলার পরামর্শ দিয়েছেন বীরু। তাঁর মতে, এই দুই দলের আর হারানোর কিছু নেই। ঠিক যেমন ২০০৭ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে তৎকালীন ভারতীয় দলের হারানোর ভয় ছিল না। ফলে ভয়ডরহীন ভাবে খেলে সেই বিশ্বকাপে জিতেছিল ভারতীয় দল। ঠিক সেই ভাবেই দুই দলকে খেলার পরামর্শ দিয়েছেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। প্লে অফে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে গেলে কেকেআর এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দুই দলকেই জিততে হবে তাদের শেষের সব ম্যাচে। পাশাপাশি উপরের দিকে থাকা দলগুলোকে হারতে হবে। তবেই তাদের সুযোগ থাকবে প্লে অফে যাওয়ার। ফলে বোঝাই যাচ্ছে দুই দলের জন্য কতটা কঠিন হয়ে উঠেছে প্লে-অফের লড়াইটা।
আরও পড়ুন: KKR আমাদের হারায়নি, আমরা হেরেছি- নাইটদের হেলাফেলা করলেন SRH কোচ লারা
ক্রিকবাজে কেকেআর এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ বলেছেন, ‘যখন তোমার সময় খারাপ যাচ্ছে তখন তোমার উপর খুব বেশি প্রত্যাশার চাপ থাকে না। আর সেই কারণে এই সময়ে ক্রিকেটাররা কিন্তু নিজেদের খেলাটা অনেক বেশি উপভোগ করে খেলতে পারে। আর এটা হলেই তারা তাদের সামর্থ্যের থেকেও অনেক বেশি ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে। এই বিষয়ের সেরা উদাহরণ ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপে আমাদের পারফরম্যান্স। আমাদের নিজেদেরকে নিয়েই খুব বেশি আশা ছিল না। অন্যদেরও আমাদেরকে নিয়ে সে রকম আশা ছিল না। আমাদের একেবারে নতুন দল ছিল। ছিল নতুন অধিনায়ক। আমরা নিজেদের খেলা খুব উপভোগ করে খেলেছি। উপভোগ করে চার-ছয় মেরেছি। বোলাররাও উপভোগ করে বল করেছে। কারণ আমরা জানতাম, আমাদের হারানোর কিছু নেই। সেই পরিস্থিতিতে আমরা আরও বেশি উপভোগ করেছি। আরও ভালো করে পারফরম্যান্স করেছি। আর সেটা হওয়ায় সাফল্যের সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল।’