মঙ্গলবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (এমআই) বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত এনকাউন্টারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (আরসিবি) এর হয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও ইনিংস খেলার পরে, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন দীনেশ কার্তিক। ভারতীয় ব্যাটার যখন প্যাভিলিয়নে ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি ডাগআউটের কাছে মাঠের মধ্যেই বমি করে ফেলেন। যে কারণে তিনি পরে উইকেটকিপিংও করতে পারেননি।
প্রধান কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার ম্যাচের পর শারীরিক পরিস্থিতির গুরুত্বপূর্ণ আপডেট দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, কার্তিকের শরীর আগে থেকেই খারাপ ছিল। তার পরেও তিনি ব্যাট করতে নেমেছিলেন। ব্যাটিং করার সময়েই অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। এর পর আউট হয়ে ফেরার সময়ে বমিও করে ফেলেন ডিকে।
আরও পড়ুন: বার বার ২০০ বা তার বেশি রান হজম করে ম্যাচ হারা- লজ্জার নজির গড়ে ফেললেন কোহলিরা
ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে সঞ্জয় বাঙ্গার বলেন, ‘ইনিংস চলার সময়েই অসুস্থ বোধ করছিল দীনেশ। সামান্য ডিহাইড্রেশন হয়েছে, আউট হওয়ার পর বমিও করেছে। আমাদের পরের ম্যাচের আগে হাতে ৩-৪ দিন সময় আছে। আশা করা যায়, ও ওষুধ খেয়ে তত দিনে সুস্থ হয়ে উঠবে। ও আমাদের দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং ওর একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।’
অসুস্থ শরীর নিয়েও মিডল অর্ডারে নেমে এ দিন কার্তিক ১৮ বলে ৩০ রানের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস খেলেন। যা আরসিবি-কে ৬ উইকেটে ১৯৯ রানে পৌঁছতে সাহায্য করেছিল। কার্তিকের শরীরে ঠিক থাকলে হয়তো রানটা আরও বাড়তে পারত।
আরও পড়ুন: অভিমন্যুর চক্রব্যুহের ফাঁদ পেতেছিল RCB- সেই জাল কী ভাবে কাটলেন,খোলসা করলেন স্কাই
শরীর এতটাই খারাপ হয়েছি যে কার্তিক মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংসের সময়ে উইকেটকিপিং করতেও নামতে পারেননি। কার্তিকের বলে তরুণ কিপার অনুজ রাওয়াত উইকেটকিপিং করেন। সিনিয়র ব্যাটসম্যান কার্তিক ছাড়া ফ্যাফ ডু'প্লেসিস (৬৫) এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৬৮) গুরুত্বপূর্ণ নক খেলেন। তরুণ রাওয়াত (৬) এবং মহিপাল লোমরো (১) উচ্চ স্কোরিং এনকাউন্টারে ফায়ার করতে ব্যর্থ হন।
বাঙ্গার যোগ করেছেব, ‘আমাদের তরুণ ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা খুব একটা নজর কাড়ার মতো উন্নতি করছে না। লোমরো যেমন সুযোগগুলো তাও কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কিন্তু অনুজ রাওয়াত বা শাহবাজ আহমেদের মতো প্লেয়াররা সুযোগ পেলেও, সেগুলো কাজে লাগাতে পারেননি। তবে তরুণ প্লেয়ারদের নিয়ে ধৈর্য ধরতে হবে এবং আমি এই ক্ষেত্রে রিঙ্কু সিংয়ের উদাহরণ দেব।’
প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯৯ রানে শেষ করে আরসিবি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে সূর্যকুমার যাদবের ৩৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংস এবং নেহাল ওয়াধেরার সঙ্গে তাঁর ১৪০ রানের পার্টনারশিপের সুবাদে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মুম্বই। ২১ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে তারা ম্যাচ জিতে যায়।