এখনও পর্যন্ত একবারও আইপিএল জয়ের স্বাদ পায়নি দিল্লি ক্যাপিটালস। এ বার তাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। এ দিকে ঋষভ পন্তের অনুপস্থিতি বিশাল বড় ধাক্কা দিল্লি। অভিজ্ঞ ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বে এ বার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালাবে দিল্লি ক্যাপিটালস।
দিল্লি ক্যাপিটালস ২০২০ সালে আইপিএলে রানার্স হয়েছিল। ২০২১ সালের আইপিএলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকেও প্লে-অফ থেকেই বিদায় নিয়েছিল। ২০১৮ সালের পর গত বছরই প্রথম ঋষভ পন্তরা প্লে-অফেও উঠতে পারেননি। ১০ দলের মধ্যে পঞ্চম স্থানে শেষ করেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। সাতটি ম্যাচ তারা জিতেছিল, হেরে ছিল সমসংখ্যক ম্যাচেই। এ বার কি ওয়ার্নারের নেতৃত্বে দিল্লি পারবে অধরা মাধুরী স্পর্শ করতে? সময়ই এর উত্তর দেবে।
দিল্লি ক্যাপিটালসের এই বছরের শক্তি, দুর্বলতা কী কী? প্রথম একাদশই বা কী হতে চলেছে? জেনে নিন বিস্তারিত।
দিল্লি ক্যাপিটালসের শক্তি:
১) দিল্লি ক্যাপিটালস দলের বড় শক্তি দলের টপ অর্ডার। দলের প্রথম চার ব্যাটার একার হাতে ম্যাচের মোড় ঘোরাতে পারেন। ডেভিড ওয়ার্নারের পাশাপাশি পৃথ্বী শ, মিচেল মার্শ, সরফরাজ খান, রাইলি রুসো, রভম্যান পাওয়েল থাকায় ব্যাটিং বিভাগ বেশ শক্তিশালী।
২) লোয়ার অর্ডারে মণীশ পাণ্ডে, অক্ষর প্যাটেলরা ঝোড়ো রান তুলতে সক্ষম। ফলে ব্যাটিং গভীরতা সমীহযোগ্য।
৩) ডেভিড ওয়ার্নার এর আগে দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে পাকাপাকি ভাবে ক্যাপ্টেন হয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে গিয়েই। ২০১৬ সালে তাদের খেতাব জেতান। আইপিএলে অধিনায়ক ওয়ার্নার জিতেছেন ৩৫টি ম্যাচে, হার ৩২টিতে, ২টি টাই। তাঁর অভিজ্ঞতা এবা র দিল্লির ইতিবাচক দিক হতে পারে।
৩) বোলিং বিভাগেও অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের ভাল মিশ্রণ চোখে পড়ছে। মুকেশ কুমার, চেতন সাকারিয়া, কমলেশ নাগরকোটিদের প্রথম একাদশের ভরসা। মার্শও বোলিং করবেন।
৪) স্পিন বিভাগে কুলদীপ যাদব এবং অক্ষর প্যাটেল বড় অস্ত্র দিল্লির।
৫) দিল্লির সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের কোচিং স্টাফ। রিকি পন্টিংয়ের পাশাপাশি এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে এ বার জুড়ে গিয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও। যেটা বড় অক্সিজেন দিল্লির।
আরও পড়ুন: শ্রেয়সের চোট বড় ধাক্কা, আর কী সমস্যা রয়েছে KKR-এর, শক্তিই কী? কী হতে পারে একাদশ?
দিল্লি ক্যাপিটালসের দুর্বলতা:
১) ঋষভ পন্তের ছিটকে যাওয়াটা বড় ধাক্কা দিল্লি ক্যাপিটালসের। তাঁর অধিনায়কত্ব, ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটকিপিং-ও বাজে ভাবে মিস করবে দিল্লি।
২) দিল্লি ক্যাপিটালসের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা বা সমস্যা হল উইকেটরক্ষক। পন্ত না থাকায় কে উইকেটরক্ষক হবেন, সেটা নিয়ে চিন্তায় আছে দিল্লি। ফিল সল্ট ছাড়া নিয়মিত কোনও উইকেটরক্ষক দিল্লির হাতে নেই। সে ক্ষেত্রে সরফরাজ খান বা মণীশ পাণ্ডেকে উইকেটের পিছনে দাঁড়াতে হতে পারে।
৩) এনরিখ নরকিয়া, লুঙ্গি এনগিডি, মুস্তাফিজুর রহমানের মতো জোরে বোলারদের প্রথম থেকে পাবে না দিল্লি ক্যাপিটালস। যেটা শুরুতে চাপে ফেলবে তাদের।
৪) টানা কয়েকটি হোম ম্যাচ খেলার সুযোগ নেই দিল্লির কাছে। একটি ম্যাচ খেলেই অন্য শহরে যেতে হবে।
দিল্লির সম্ভাব্য একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার (অধিনায়ক), পৃথ্বী শ’, মিচেল মার্শ, মণীশ পাণ্ডে, সরফরাজ খান (অধিনায়ক), মুকেশ কুমার/ললিত যাদব, রভম্যান পাওয়েল, অক্ষর প্যাটেল, এনরিখ নরকিয়া, কুলদীপ যাদব, চেতন সাকারিয়া।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।