করোনা সংকটে দুমাসেরও বেশি সময় ধরে ঘরবন্দি দশাতেই দিন কাটিয়েছেন সইফ-করিনা। রবিবার বাড়ির বাইরে পা রাখা মাত্রাই ট্রোলিংয়ের মুখে পড়লেন এই সেলেব দম্পতি। এদিন ছেলে তৈমুরকে নিয়ে মেরিন ড্রাইভে ঘুরতে গিয়েছেন সইফিনা। তবে করোনা আবহের মধ্যেও মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়ালেন এই তারকা দম্পতি। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু ভিডিয়ো এবং ছবিতে তৈমুরেরও দেখা মিলেছে বিনা মাস্কে। ব্যাস, এর জেরেই নেটিজেনদের রোষের মুখে সইফ-করিনা।
অনেকেরই প্রশ্ন করোনা মহামারীর সময়ে কেমনভাবে মাস্ক ছাড়াই বাইরে বার হয়েছেন সইফ-করিনা? কেউ কেউ কটাক্ষের সুরে বলছেন 'ও তার মানে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে'। প্রয়োজনীয় সতর্কতা না মেনে সইফিনার এই সান্ধ্যভ্রমণ অনেকের চোখেই বিঁধছে,বিশেষত তাঁদের চার বছরের পুত্র সঙ্গে থাকায়। দায়িত্বশীল নাগরিক এবং তারকা হিসাবে এটা খুব খারাপ একটা উদাহরণ সামনে রেখেছেন সইফিনা,দাবি নেট নাগরিকদের একাংশের।
মুম্বইয়ের সমুদ্র সৈকতে পাপারতজিদের ক্যামেরায় লেন্সবন্দী করিনাকে পাওয়া গেল সাদা-কালো প্রিন্টেড ড্রেসে, চুল টেনে বেঁধে রেখেছিলেন বেবো, পায়ে ছিল সাদা স্নিকার্স। সইফ পরেছিলেন নিজের পছন্দের সাদা কুর্তা-পাজামা। তৈমুরের পরনে ছিল হালকা আকাশি রঙের টি-শার্ট ও শর্টস।
বেশকিছু ছবিতে দেখা গেছে সইফের মুখে মাস্ক নেই, কিন্তু করিনা ও তৈমুর মাস্ক পরে আছেন। আবার কিছু ভিডিয়োয় সইফকে মাস্ক পরে দেখা গেছে কিন্তু তৈমুরকে দেখা গেছে মাস্কহীন অবস্থায়। ভিডিয়োয় একজনকে বলতেও শোনা গেল, 'ভাই ছোট ছেলেকে বাইরে আনা বারণ আছে'। প্রসঙ্গত, দশ বছরের কম বয়সী, ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক এবং অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের যতটা সম্ভব বাইরে না আসার কথা বার বার জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে,তবুও তৈমুরকে নিয়ে সইফিনার এই সমুদ্র দর্শনের যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকেই।
যদিও বাইরে বেরিয়ে ভীষণ খুশি তৈমুর,তা এই পুচকের হাসিই বলে দিচ্ছে। শনিবারও করিনাকে বিল্ডিং কমপ্লেক্সে জগিং করতে দেখা গিয়েছিল। সেই ছবিও ভাইরাল হয়ে যায় ইন্টারনেটে। গোটা লকডাউনের সময় জুড়েই ঘরের মধ্যেই নানাভাবে ছেলেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করেছেন সইফ-করিনা। তবে আনলক-১'এ প্রথম বাইরে বেরোলেন তাঁরা। যদিও দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিয়াশি হাজার পার করেছে।