মাসকয়েক একই প্রতিযোগিতায় দু'জন নেমেছিলেন। তখন কে ভেবেছিল, তাঁরাই ভারতকে অলিম্পিক্স এবং প্যারালিম্পিক্সে সোনা এনে দেবেন? ঠিক সেই কাজটাই করেছেন ভারতের দুই সোনার জ্যাভেলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া এবং সুমিত অ্যান্টিল।
গত মার্চে পাতিয়ালায় ভারতীয় গ্রাঁ প্রি'তে নীরজ নেমেছিলেন। প্যারালিম্পিয়ানদের ইভেন্ট না হলেও তাতে অংশগ্রহণ করেছিলেন সুমিত। দু'জনেরই ভিন্নরকম লক্ষ্য ছিল। সেই প্রতিযোগিতায় ৮৮.০৭ মিটার ছুড়ে জাতীয় রেকর্ড তৈরি করেন নীরজ। স্বভাবতই হয়েছিলেন প্রথম। যিনি টোকিও অলিম্পিক্সে পুুরুষদের জ্যাভেলিন থ্রো'তে ঐতিহাসিক সোনা জিতেছেন। প্রথম ভারতীয় অ্যাথলিট হিসেবে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে সোনা জয়ের নজির স্থাপন করেছেন। যে স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে নীরজ সেই ইতিহাস তৈরি করেছেন নীরজ, সেই ট্র্যাকেই কয়েক সপ্তাহ পরে সোনা জিতেছেন সুমিত। পুরুষদের জ্যাভেলিন থ্রোয়ের এফ-৬৪ বিভাগের ফাইনালে তিনবার বিশ্বরেকর্ড ভেঙেছেন। যে সুমিত মার্চের ভারতীয় গ্রাঁ প্রি'তে সপ্তম হয়েছিলেন। ছুড়েছিলেন ৬৬.৪৬ মিটার।
সোমবার টোকিয়োয় বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন সুমিত। ফাইনালের প্রথম থ্রোয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। ছোড়েন ৬৬.৯৫ মিটার। সেখানেই অবশ্য থামেননি সুমিত। দ্বিতীয় থ্রোয়ে সেই রেকর্ডও ভেঙে দেন। যা মিনিট কয়েক আগে গড়েছিলেন। দ্বিতীয় চেষ্টায় তাঁর বর্শা অতিক্রম করে ৬৮.০৮ মিটার। তৃতীয় এবং চতুর্থ থ্রোয়ে অবশ্য কিছুটা কম দূরত্ব অতিক্রম করে সুমিতের বর্শা (অবশ্যই সুমিতের নিরিখে)। সেই ‘আক্ষেপ’ যেন ফাইনালের পঞ্চম থ্রোয়ে মিটিয়ে নেন সুমিত। তখন তিনি ৬৮.৫৫ মিটার ছুড়ে আরও একবার বিশ্বরেকর্ড ভাঙেন। পরে সুমিত বলেন, ‘আমি জানতাম যে বিশ্বরেকর্ড ভেঙে দেব। আমি ৭০ মিটারের গণ্ডি ছুঁতে চাইছিলাম। শেষ থ্রো পর্যন্ত ৭০ মিটারের লক্ষ্যে যাচ্ছিলাম।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।