'ওয়াহে গুরুজি..' অলিম্পিক্সে চানুর প্রতিটি লিফটের পর প্রার্থনা শিখ ব্যক্তির

চাপা উত্তেজনার মধ্যে রুপো জয়।

মীরাবাঈ চানু। (ছবি সৌজন্য পিটিআই)

শুভব্রত মুখার্জি

শনিবাসরীয় সকালে  ঘড়ির কাঁটা তখন ১০ টা পেরিয়েছে। ধোঁয়া ওঠা চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিতে দিতে ঘুমভাঙা চোখে গোটা ভারত তখন টিভির পর্দায় চোখ রেখেছে টোকিও থেকে প্রথম মেডেলের প্রত্যাশায়। মণিপুরের মাত্র ২৬ বছরের মেয়ে মীরাবাঈ চানু তখন লড়াই চালাচ্ছেন ৪৯ কেজি বিভাগে পদক জয়ের লক্ষ্যে। স্ন্যাচ, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে তখন আমেরিকা, চিনের প্রতিযোগীদের বিরুদ্ধে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।

(টোকিয়ো অলিম্পিক্স ২০২০-এর যাবতীয় খবর, আপডেটের জন্য চোখ রাখুন -- এখানে)

স্ন্যাচ এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্কে তিনটি করে লিফ্টের একটি একটি করে তখন তুলছেন মীরা। চাপা টেনশন বুকে নিয়ে গোটা ভারত শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় অপেক্ষা করছে আদরের মেয়ের পদক জয়ের। সময় গড়াচ্ছে আর ধীরে ধীরে শেষ হচ্ছে আঙুলের নখ। চিনের প্রতিযোগী স্ন্যাচের শেষে ৯৪ কেজি তুলে প্রথম স্থানে চলে গিয়েছেন। চানু ৮৭ কেজি তুলে তখন দ্বিতীয় স্থানে। বাকি তাঁর প্রিয় ক্লিন অ্যান্ড জার্ক। হঠাৎ করেই নেট মাধ্যমে ভাইরাল এক ভারতীয়ের ভিডিয়ো। পঞ্জাবের বাসিন্দা সেই ব্যক্তি টিভিতে চানুর পারফরম্যান্স চাক্ষুষ করছেন।

প্রতিটি লিফট শেষেই তার স্বস্তির চিৎকার 'ওয়াহে গুরু' বলে। এক একটি লিফ্টের সাথে চানু যেমন পদকের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন ঠিক সেইভাবেই যেন গোটা ভারতকে একসূত্রে বেঁধে ফেলেছিলেন। বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তখন তাঁদের ভাষায় তাদের দেব-দেবীর কাছে চানুর শুভকামনায়, প্রার্থনায় ব্যস্ত। আপামর ভারতীয়ের প্রার্থনা শুনলেন দেবকূলের বাসিন্দারা। সবকিছুকে সফল করে ভারতের ইতিহাসে অলিম্পিক্সের প্রথম দিনেই প্রথমবার পদক জয় চানুর হাত ধরে নিশ্চিত হল ভারতের।