বিশাখাপত্তনমে রোহিত-রাহুলের পার্টনারশিপ ভেঙে গুড়িয়ে দিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও বীরেন্দ্র সেহয়াগের ১৭ বছরের পুরনো সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপের রেকর্ড।
বিশাখাপত্তনমে ১০৭ বলে সেঞ্চুরি করেন রোহিত। শেষ পর্যন্ত ১৩৮ বলে ১৫৯ রানের একটি মারকাটারি ইনিংস খেলে আউট হন হিটম্যান। তাঁর ১৫৯ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৭টি চার ও ৫টা ছয় দিয়ে। অন্যদিকে, লোকেশ রাহুল ১০৪ বলে ১০২ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংসটিতে ছিল ৮টি চার ও ৩টি ছয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এটা ছিল ভারতের সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ। এদিনের ওপেনিংয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে রোহিত ও রাহুল পিছনে ফেলে দিলেন সৌরভ ও সেহওয়াগকে।এর আগে ২০০২ সালে রাজকোর্টে সৌরভ-সেহওয়াগ ১৯৬ রানের পার্টনারশিপ খেলেছিলেন। সেখানে এদিন রোহিত- রাহুল জুটি বিশাখাপত্তনমে ২২৭ রানের পার্টনারশিপ খেললেন।
ওপেনিং পার্টনারশিপে রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি এদিন রোহিত একদিনের ক্রিকেট কেরিয়ারে ২৮ তম সেঞ্চুরি হাঁকালেন। এর ফলে তিনি এক ক্রিকেট বর্ষে এই নিয়ে সাতটি শতরান করলেন। এতদিন এই রেকর্ডও সৌরভের দখলে ছিল।
এই রেকর্ড ডেভিড ওয়ার্নারও করেছিলেন।২০০০ সালে সৌরভ এবং ২০১৬ সালে এই কৃতিত্ব গড়েছিলেন ওয়ার্নার। সেখানে ১৯৯৮ সালে একই ক্রিকেট বর্ষে আটটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে শীর্ষে রয়েছেন সচিন টেন্ডুলকার।
এদিন রোহিত ১৫৯ রানে পৌঁছাতে গড়লেন আরও একটি বিশ্বরেকর্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক বছরে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার (৭৭) রেকর্ড থাকল তাঁর ঝুলিতে। এতদিন অবশ্য এই রেকর্ড ছিল তাঁরই দখলে। গতবছর ৭৪ টি ছক্কা মেরে মগডালে উঠে পড়েছিলেন রোহিত।
একইভাবে এক ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার ব্যাপারে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রোহিত নিজেই। ২০০৭ সালে রোহিতের ব্যাট থেকে বেরিয়ে ছিল ৬৫টি ছক্কা। ২০১৫ সালে এবি ডি ভিলিয়ার্সের মেরেছিলেন ৬৩টি ছক্কা। ২০১২ সালে ৫৯টি ছক্কা মেরেছিলেন ক্রিস গেইল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।