ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচটি পার্লে খেলা হয়েছিল। এই ম্যাচে ৩১ রানে পরাজিত হয় টিম ইন্ডিয়া। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চার উইকেটে ২৯৬ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ভারতীয় দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে মাত্র ২৬৫ রান তোলে। ভারতীয় ইনিংসে ১৬ রান করে আউট হন ঋষভ পন্ত। স্টাম্পের পিছন থেকে তাকে শিকার করেন ডি'কক। চোখের পলকে পন্তকে স্টাম্পড করেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক। আম্পায়ার তখন সিদ্ধান্ত জানাননি, তবু আউট বুঝে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগেই মাঠে ছাড়েন পন্ত। ভারতীয় উইকেট রক্ষকের এমন আচরণে অনেকের মন জয় করেছে। তবে সমালোচনার মুখেও পড়েছেন পন্ত। কারণ এমন একটা সময় তিনি আউট হয়েছেন যখন থেকে ম্যাচের গতি বদলে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন পন্তের আউটের পরেই এদিনের ম্যাচের দিক পরিবর্তন হয়ে যায়। ভারতের প্রায় হাতে থাকা ম্যাচ কেএল রাহুলের তালু থেকে ফস্কে যায়। শিখর ধাওয়ান টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ৭৯ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন। যেখানে প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি করেন ৫১ রান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি করেন শার্দুল ঠাকুর। তিনি ৪৩ বলে ৫০ রান করেন। ঠাকুরও মারেন ৫টি চার ও একটি ছক্কা। তবে ভারতীয় দলকে জেতাতে পারেননি তিনিও। বিশেষ৫রা মনে করেন যদি পন্ত সেই সময়ে আউট না হতে তাহলে ম্যাচের ফল অন্য হতেই পারত।
তবে এদিন ম্যাচ দিক ঘুরিয়ে দেন কুইন্টন ডি'কক। ৩৪.১ ওভারে পন্তকে দারুণ স্টাম্পিং করেন তিনি। বলা যেতে পারে বিদ্যুৎ গতিতে ঋষভকে আউট করেন তিনি। ৩৫তম ওভার চলছিল যখন ঋষভ পন্ত আউট হন। জয়ের জন্য ভারতের ১৬ ওভারে আরও ১১৬ রান দরকার। নতুন ওভারের দায়িত্ব দেওয়া হয় মিডিয়াম পেসার আন্দিলে ফেলুকওয়েকে। ওভারের প্রথম বলেই আউট হন তিনি। তবে আম্পায়র প্রথমে বুঝতে পারেননি। থার্ড আম্পায়ার কল করা হয়েছিল। আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগেই মাঠে ছাড়েন পন্ত। ভারতের উইকেট রক্ষকের এমন আচরণে অনেকেই খুশি হয়েছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।