শুভব্রত মুখার্জি: চলতি ডব্লুপিএলে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দল। পরপর দুটি ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে তাঁরা। প্রথম ম্যাচে গুজরাট জায়ান্টস দলকে তাঁরা ১৪৩ রানে উড়িয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে নয় উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে তারা। তাদের এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার হেইলি ম্যাথুজ। হেইলি ম্যাথুজের মু্ম্বই দলের হয়ে খেলা এবং পারফরম্যান্স করা যেন একটা বৃত্তকে সম্পূর্ণ করল। ২০২৩ সালের নিলামের মধ্যে দিয়ে ডব্লুপিএলে মুম্বইয়ের হয়ে খেলার সুযোগ পান তিনি। সেই মুম্বই যাদের হয়ে ২০১৩ সালের আইপিএলের দলের হয়ে রীতিমতো গলা ফাটাতে দেখা গিয়েছিল তাকে। টুইট করে 'কাম অন মুম্বই' লিখে রীতিমতো জনসমক্ষে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেই হেইলি ম্যাথুজ এই মুহূর্তে ডব্লুপিএলে মুম্বইয়ের হয়ে খেলছেন শুধু নয় টুর্নামেন্টে এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি।
মুম্বইয়ের হয়ে আরসিবির বিরুদ্ধে তাদের শেষ ম্যাচে তিনি বল হাতে তিন উইকেট নিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়। ওপেনিং করতে নেমে এর পাশাপাশি ৭৭ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি। নিশ্চিত করেছেন দলের অনায়াস জয়। মাত্র ৩৮ বল খেলে অপরাজিত ছিলেন ৭৭ রানে। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরারও পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বলতে গিয়ে ম্যাথুজ জানিয়েছেন, 'ম্যাচটা শুরু হওয়ার আগে আমরা মনে করেছিলাম এই উইকেটে ১৭০-১৮০ রান বেশ লড়াকু স্কোর হবে। আরসিবিকে যখন আমরা ১৫৫ রানে অলআউট করে দিই তখন আমরা নিশ্চিত ছিলাম এই ম্যাচটা আমাদের জেতার বিরাট সুযোগ রয়েছে। এই উইকেটটা ব্যাটিং সহায়ক উইকেট ছিল। অনেকক্ষণ ধরে উইকেটে একজন ব্যাটার ব্যাট করলে তার পক্ষে রান করাটা আরও সহজ হচ্ছিল। আজকে আমি আর ন্যাট (স্কিভার ব্রান্ট) সেটা করেছি।'
হেইলি ম্যাথুজ আইপিএল এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের একনিষ্ঠ ভক্ত। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি জানান 'আমি যখন খুব ছোট ছিলাম। আমি অনুসরণ করতাম, সমর্থক ছিলাম বাবার পছন্দের দলের। প্রথম মরশুম থেকেই বাবা মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের সমর্থক ছিলেন। বাবা সচিন তেন্ডুলকরের প্রচন্ড বড় সমর্থক ছিলেন। নিলামে যখন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দল আমাকে নেয় তখন অতীতের বেশ কিছু স্মৃতি সামনে চলে আসে। কেউ একজন ২০১৩ সালে আমার মুম্বইকে নিয়ে করা একাধিক টুইট সামনে নিয়ে আসে। 'কাম অন মুম্বই' বা এমন কিছু একটা লিখেছিলাম। সেটা আবার দেখাটা বেশ মজার ছিল আমার কাছে।'