আক্রমণই হতে পারে রক্ষণের সেরা উপায়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হারারে টেস্টে সেটাই আরও একবার প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন জিম্বাবোয়ে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর। যদিও তাঁর প্রচেষ্টা কার্যকরী প্রমাণিত হবে কিনা, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। বরং ম্যাচের পাল্লা বাংলাদেশের দিকেই একতরফা ঝুঁকে বলা যায়।
বাংলাদেশের ৪৬৮ রানের জবাবে জিম্বাবোয়ের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৭৬ রানে। ১৯২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ১ উইকেটে ২৮৪ রান তুলে মোমিনুলরা তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ডিক্লেয়ার করে।
ওপেনার শাদমান ইসলাম কেরিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন। তিনি ১১৫ রান করে নট-আউট থাকেন। অপর ওপেনার সঈফ হাসান ৪৩ রান করে আউট হন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত কেরিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করেন। তিনি নট-আউট থাকেন ১১৭ রানে।
জয়ের জন্য জিম্বাবোয়ের সামনে লক্ষ্যমাত্র দাঁড়ায় ৪৭৭ রানের। শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবোয়ে চতুর্থ দিনের শেষে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৪০ রান তুলেছে। টেলর ১৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৩ বলে ৯২ রান করে আউট হন। নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেন তিনি। প্রথম ইনিংসেও ৯২ বলে ৮১ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেছিলেন টেলর।
শাকিব, মেহেদি ও তাস্কিন ১টি করে উইকেট নিয়েছেন। শেষ দিনে জয়ের জন্য জিম্বাবোয়ের প্রয়োজন ৩৩৭ রান। বাংলাদেশের দরকার ৭টি উইকেট। এই পরিস্থিতি থেকে জিম্বাবোয়ের পক্ষে ম্যাচ বাঁচানো যে সহজ নয়, সেটা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।