প্রায় কিছু বছর পরপরই প্রযুক্তি বিশ্বে আসা পরিবর্তনের সঙ্গে বদলে যায় আম-আদমির জীবন। ইমেল যুগের শুরু থেকেই আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে পাসওয়ার্ড। কিন্তু সেই দিন বোধহয় এবার শেষ হতে চলেছে। অন্তত সেরকমই পরিকল্পনা প্রযুক্তি সংস্থা গুগলের। পাসওয়ার্ডের জায়গায় তারা এবার হাজির করেছে পাস-কি গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন-ইন করার জন্য। এটা বায়োমেট্রিক্স ব্যবহার করে ইউজারকে লগ-ইন করানোর জন্য, ফলে এটি অনেকটি নিরাপদ বলে সংস্থার দাবি।
একটি ব্লগপোস্টে সংস্থা জানিয়েছে যে গতবছর থেকেই অ্যাপেল ও মাইক্রোসফটের সঙ্গে তারা একযোগে কাজ করছে পাস-কি চালু করার জন্য আরও সুরক্ষিত সাইন-ইনের জন্য। বিশ্ব পাসওয়ার্ড দিবসের প্রাক্কালে গুগল এই পাস-কি ধীরে ধীরে সমস্ত গুগল অ্যাকাউন্টের জন্য চালু করছে।
পাস-কি ঠিক আসলে কী?
পাস-কি তে বড়সড় পাসওয়ার্ড মনে রাখার প্রয়োজন হয় না। যেভাবে ইউজাররা তাদের ফোন বা ল্যাপটপ খোলেন ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস স্ক্যান বা পিন দিয়ে, সেভাবেই তারা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করতে পারবেন পাস-কি দিয়ে। সবচেয়ে বড় কথা, ফিসিং অ্যাটাক যেটা এখন অহরহ হচ্ছে, সেটার থেকে অনেক বেশি সুরক্ষিত পাস-কি। ক্রিপ্টোগ্রাফির সাহায্য নিয়ে ক্লাউডে অথেন্টিকেশন করা হবে কোনও নির্দিষ্ট ইউজারের এবং সেটার মাধ্যমেই সব ডিভাইসে ওই অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগ-ইন করা যাবে। তবে আপাতত পাসওয়ার্ড ও টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের সঙ্গে একযোগে পাস-কি চালু করবে গুগল।
আজ থেকেই এই নতুন ফিচার চালু হয়ে গেল। ফলে নতুন কোনও অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগ-ইন করতে গেলেই আপনাকে এই অপশন দেবে সংস্থাটি। আপাতত ব্যক্তিগত গুগল অ্যাকাউন্টের জন্যই এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে এরপর আপনার অফিস ইমেলের ক্ষেত্রেও পাস-কি চালু করার সুযোগ পাবে অ্যাডমিন ও টেক টিমের লোকেরা। অর্থাৎ গুগল ওয়ার্কস্পেস অ্যাকাউন্টেও এটা চালু করা হচ্ছে।
বর্তমানে অনেকেই বিশেষত বয়স্করা পাসওয়ার্ড লিখে রাখেন কাগজে। অনেকক্ষেত্রেই তাদের প্রতারিত করে টাকা হাতিয়ে নেয় প্রবঞ্চকরা। এই সব সমস্যার নিরসনেই পাস-কি অপরিহার্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।