পিআইবি ফ্যাক্ট চেক জানিয়েছে, প্রায় ১০ লক্ষ সাবস্ক্রাইবারের একটি চ্যানেল 'নিউজ হেডলাইনস'-এ প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্ট, ভারতের প্রধান বিচারপতি এবং নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। একই রকমের আরেকটি চ্যানেল ছিল 'আজ তক লাইভ'। বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের লোগো ব্যবহার করে ভুয়ো খবর ছড়ানো হত।
1/5 ভুয়ো খবর ছড়ানোর অপরাধে তিনটি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করল কেন্দ্র। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ইউটিউব চ্যানেলগুলি প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী এমনকি নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিডিয়ো বানাতো। আর এতেই প্রায় ৩০ কোটির বেশি ভিউ পেয়েছিল তারা। তিনটি চ্যানেল মিলিয়ে প্রায় ৩৩ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার ছিল। ফেক নিউজ ছড়িয়েই মোটা টাকা আয় করছিল তারা। ফাইল ছবি: টুইটার
2/5 পিআইবি ফ্যাক্ট চেক জানিয়েছে, প্রায় ১০ লক্ষ সাবস্ক্রাইবারের একটি চ্যানেল 'নিউজ হেডলাইনস'-এ প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্ট, ভারতের প্রধান বিচারপতি এবং নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। একই রকমের আরেকটি চ্যানেল ছিল 'আজ তক লাইভ'। জনপ্রিয় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের লোগো, সাংবাদিকদের ছবি ব্যবহার করে লাগাতার ভুয়ো খবর ছড়ানো হত। আধার কার্ড, প্যান কার্ডের মতো বিষয়ে ভুয়ো, কাল্পনিক ভিডিয়ো বানিয়ে কোটি কোটি ভিউ তুলত তারা। ফাইল ছবি: রয়টার্স
3/5 তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক গত এক বছরে ১০০-রও বেশি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করেছে। চলতি বছরের এপ্রিলে ২২টি ইউটিউব চ্যানেল, তিনটি টুইটার অ্যাকাউন্ট, একটি নিউজ ওয়েবসাইট এবং একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। ফাইল ছবি: পিআইবি
4/5 ইউটিউব ভিডিয়োগুলির শিরোনামই শিউরে ওঠার মতো। ৬ মে ২০২১-এ এমনই এক ভিডিয়ো আপলোড করা হয়, ‘পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর, বদলে এলেন নীতিন গড়করি।' এমন আজব ক্লিকবেট ভিডিয়োতেই প্রায় ৪ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ হয়েছে। এমন ভিডিয়ো বানালে চ্যানেল নিষিদ্ধ করাটাই স্বাভাবিক। শুধু তাই নয়, 'প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ' বা 'রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হল'- এমন হেডলাইন দিয়ে লক্ষ লক্ষ ভিউ তুলেছে চ্যানেলগুলি। চ্যানেলগুলিতে ইউটিউবের মনেটাইজেশন তো ছিলই। এর পাশাপাশি নিজেদের সংগৃহিত বিজ্ঞাপনও চালাত তারা। যাঁরা ইউটিউবারদের আয়ের বিষয়ে জানান, তাঁরা সহজেই অনুমান করতে পারবেন, ঠিক কতটা বিপুল আয় করছিল এই চ্যানেলগুলি। ফাইল ছবি: টুইটার
5/5 ফলে আগামিদিনে কোনও অনামী ইউটিউব চ্যানেলের খবর দেখে তা সঙ্গে সঙ্গে শেয়ার করা থেকে সাবধান। প্রথমে গুগলে সেই বিষয়ে সার্চ করে দেখুন। নামী, প্রথম সারির একাধিক সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটে, ইউটিউবে সেই খবর প্রকাশিক হয়েছে কিনা তা যাচাই করুন। ফাইল ছবি: রয়টার্স