Sawan 2023: কীভাবে অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা ভোপালের আন্না নগরের বাসিন্দারা মা দুর্গা ও শিবের এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, জেনে নিন এই মন্দিরের ইতিহাস।
1/4 ভোপালের আন্না নগর মোড়ের কাছে অবস্থিত মা দুর্গা-শিব মন্দির স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাসের একটি প্রধান কেন্দ্র। প্রথমে মন্দিরে ভগবান শিব একটি মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়। এরপর প্রতিদিন মন্দিরে আরতি হতে থাকে। আজকাল শ্রাবণ সোমবার মন্দিরে ভক্তদের ভিড় থাকে। শ্রাবণ মাসের কারণে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত স্থানীয় লোকজন শিবের পুজো দিতে মন্দিরে আসছেন। ভগবান শিবের আরতির পর প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
2/4 এই মন্দিরের ইতিহাস: ভেল কারখানা ৬০ এর দশকে নির্মিত হয়েছিল। এতে কাজ করতে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে লোকজন আসতেন। ভেলে কাজ করার পাশাপাশি, শ্রমিক শ্রেণীর লোকেরা আন্না নগরে বসতি স্থাপন করেছিল। ১৯৭৪ সাল থেকে শারদীয় নবরাত্রিতে সকলে মিলে পরিকল্পনা শুরু করে। প্রয়াত কিষাণলাল সোনকর, প্রয়াত বলদেব প্রসাদ প্রজাপতি, সরজু প্রসাদ পাল, বাঙালি বাবু, গণপতি, কান্ধা স্বামী ১৯৭৫ সালে মা দুর্গার মন্দির নির্মাণে সহযোগিতা করেন। এর পরে, স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় ১৯৯০ এর দশকে ভগবান শিবকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল।
3/4 এটাই মন্দিরের বিশেষত্ব: মন্দিরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ভগবান শিবকে একটি ছোট মন্দিরে স্থাপন করা হয়েছে। এতে একের পর এক মানুষ শিবের পুজো করতে যায়। শ্রাবণ সোমবার ভক্তদের ভিড়ের কারণে, স্থানীয় জনগণের সহায়তায় মন্দিরের বাইরে বসার ব্যবস্থা করা হয়। শিবকে গোলাপ, সেবন্তী, গাঁদা, বেলপত্র, ধাতুরা নিবেদন করা হয়। সন্ধ্যার মধ্যে, ভগবান শিবকে নিবেদিত সামগ্রীটি সাবধানে পুকুরে নিমজ্জিত করা হয়, যাতে কেউ ভগবান শিবকে নিবেদিত ফুলের উপর পা না দেয়। ( ছবি সৌজন্যে এপি)
4/4 সন্ধ্যায় মন্দিরে শিবলিঙ্গে অভিষেক করতে যাওয়ার পূর্বে আবারও স্মান সেরে, শুদ্ধ বসন পরিধান করা প্রয়োজন। বর্তমানে অনেকেই ব্যস্ততার জন্য বা অন্য কোনও কারণে মন্দিরে যাওয়া সম্ভবকর না হলে কেউ বাড়িতেও শিবরাত্রির ব্রত সম্পন্ন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে মাটি দিয়ে শিবলিঙ্গ তৈরি করে তাতে ঘি মাখিয়ে নিতে হবে (ছবি-হিন্দুস্তান টাইমস)