১৮ অক্টোবর হল শারদীয়া নবরাত্রির চতুর্থ দিন। নবরাত্রির চতুর্থ দিনে মা কুষ্মাণ্ডার পুজো করা হয়। দেবী কুষ্মাণ্ডাকে মহাবিশ্বের আদি শক্তি বলে মনে করা হয়। মা দুর্গার সমস্ত রূপের মধ্যে মা কুষ্মাণ্ডার রূপকে সবচেয়ে উগ্র বলে মনে করা হয়। মা কুষ্মাণ্ডা সূর্যের মতো তেজ দেন। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, সমগ্র পৃথিবী যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, তখন মা কুষ্মাণ্ডা তার মিষ্টি হাসি দিয়ে বিশ্ব সৃষ্টি করেছিলেন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কুষ্মাণ্ডা মার পুজো করলে বুদ্ধি বাড়ে। আনুষ্ঠানিকভাবে দেবী কুষ্মাণ্ডাকে পুজো করার পর, তার আরতি করে পুজো শেষ করা উচিত।
মা কুষ্মাণ্ডার পুজো পদ্ধতি: শারদীয়া নবরাত্রির চতুর্থ দিনে কুষ্মাণ্ডা দেবীর পুজো করার সময় হলুদ রঙের পোশাক পরিধান করুন। পুজোর সময় দেবীকে শুধু হলুদ চন্দন লাগান। এর পরে নিবেদন করুন কুমকুম, মৌলি, গোটা চাল। একটি পানের উপর সামান্য জাফরান নিন এবং ওম ব্রীম বৃহস্পতে নমঃ মন্ত্রটি জপ করে দেবীকে অর্পণ করুন। এরপর ওম কুষ্মাণ্ডায় নমঃ মন্ত্রের একমালা জপ করুন এবং দুর্গা সপ্তশতী বা সিদ্ধ কুঞ্জিকা স্তোত্র পাঠ করুন। মা কুষ্মাণ্ডা হলুদ রং খুব পছন্দ করেন। এই দিনে দেবীকে পুজোর সময় হলুদ বস্ত্র, হলুদ চুড়ি এবং হলুদ মিষ্টি নিবেদন করুন। দেবী কুষ্মাণ্ডা হলুদ পদ্ম পছন্দ করেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি দেবীকে নিবেদন করলে, ব্যক্তি সুস্বাস্থ্যের আশীর্বাদ লাভ করবেন।
এই জিনিস নিবেদন করুন
মা কুষ্মাণ্ডাকে মালপুয়া নিবেদন করুন। এতে বুদ্ধিমত্তা, খ্যাতি ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়বে। মালপুয়া নিবেদনের পর নিজে খাবেন এবং ব্রাহ্মণকেও দেবেন।
মা কুষ্মাণ্ডা মন্ত্র: ওম জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী। দুর্গা ক্ষমা শিবা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোস্তুতে। অথবা দেবী সর্বভূতেষু মা কুষ্মাণ্ডা, নমস্তেষ্যয়ে নমস্তেষ্যয়ে নমস্তেষ্যয়ে নমো নমঃ।