1/5 ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীতে পালিত হয় রংভরী একাদশীর উৎসব। এটি আমলকী একাদশী, আমলা একাদশী এবং আমলকা একাদশী নামেও পরিচিত। একাদশী হওয়ায় এটি ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গ করা হয় এবং এই দিনে ভগবান শিব ও মা পার্বতীর পুজো করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে রংভরী একাদশীর দিন ভগবান শিব মা পার্বতীকে প্রথমবার কাশীতে নিয়ে এসেছিলেন, তাই এই একাদশী কাশীবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। রংভরী একাদশীর পবিত্র উৎসবে ভগবান শিব ও মা পার্বতীকে রং ও গুলাল নিবেদন করা হয়। এছাড়াও আচার অনুযায়ী পুজো করা হয়। পুজোর পর বাবা বিশ্বনাথ মা গৌরীর সঙ্গে শহর ভ্রমণ করেন। ভক্তরাও এ সময় শিব-গৌরীকে রং ও গুলাল দিয়ে বরণ করে নেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক রংভারী একাদশীর তারিখ, পুজোর সময় ও গুরুত্ব।
2/5 হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, এই বছরের ২০ মার্চ রাত ১২ টা ২১ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে রংভরী একাদশী তিথি। এটি ২১ মার্চ রাত ২ টো ২২ মিনিটে শেষ হবে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২০ মার্চ পালিত হবে এই একাদশী।
3/5 রংভরী একাদশীর পুজো পদ্ধতি: রংভরী একাদশীর দিন সকালে স্নান করে পুজোর সংকল্প নিন। বাড়ি থেকে একটি পাত্রে জল ভরে শিব মন্দিরে যান। সঙ্গে আবীর, চন্দন এবং বেলপত্রও নিয়ে যান। প্রথমে শিবলিঙ্গে চন্দন লাগান। তারপর বেলপত্র ও জল নিবেদন করুন। এর পর আবীর নিবেদন করুন। ভোলেনাথকে ভোগ অর্পণ করুন এবং আপনার সমস্ত সমস্যা দূর করার জন্য প্রার্থনা করুন। (ছবি সৌজন্যে এপি)
4/5 রংভরী একাদশীর গুরুত্ব: পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, রংভারী একাদশীর দিন শিবস্বরূপ বাবা বিশ্বনাথ দেবী পার্বতীকে প্রথমবার কাশীতে নিয়ে আসেন। এরপর কাশীবাসীরা ভগবান শিব ও মা পার্বতীকে রং ও আবির দিয়ে স্বাগত জানায়। এই কারণেই প্রতি বছর রংভরী একাদশীর দিন ভগবান শিব ও মা পার্বতীর পুজো করা হয়।
5/5 এভাবেই পালিত হয় রংভরী একাদশী: রংভরী একাদশীর দিন কাশীতে অন্যরকম উৎসাহ দেখা যায়। এই দিনে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে একটি বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। বাবা বিশ্বনাথ ও মা পার্বতীকে নিয়ে শহর জুড়ে শোভাযাত্রা বের করা হয়। তাদেরও লাল আবির ও ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।