২১ অক্টোবর থেকে দুর্গাপুজোর শুরু। পশ্চিমবঙ্গের দুর্গোৎসব ও অন্যান্য রাজ্যের নবরাত্রির উদ্দেশ্য একই, দেবী দুর্গার আরাধনা। নবরাত্রির ৯ দিনে দুর্গার ন’টি রূপের পুজো করা হয়। শারদীয়া নবরাত্রি অধর্মের উপর ধর্মের বিজয়ের প্রতীক। শারদীয়া নবরাত্রির দশমীর দিনে বিজয়াদশমী পালিত হয়।
আগামিকাল অর্থাৎ ১৬ অক্টোবর দ্বিতীয়ার দিন নবরাত্রির দ্বিতীয় পুজো করা হবে। এদিন মা দুর্গার যে রূপের পুজো করা হয়, তার নাম দেবী ব্রহ্মচারিণী। প্রথমে জেনে নেওয়া যাক, তাঁর সম্পর্কে।
ব্রহ্মচারিণী: মা পার্বতীর নবশক্তির দ্বিতীয় রূপ হলেন ব্রহ্মচারিণী। এখানে ‘ব্রহ্ম’ শব্দের অর্থ হল তপস্যা। ব্রহ্মচারিণী অর্থাৎ তপশ্চারিণী বা তপ আচরণকারী। কথিত আছে যে,‘বেদস্তত্ত্বং তপো ব্রহ্ম’ বেদ, তত্ত্ব এবং তপ হল ‘ব্রহ্ম’ শব্দের অর্থ। দেবী ব্রহ্মচারিণীর রূপ- জ্যোতিতে পূর্ণ, অতি মহিমামণ্ডিত। দেবী ডান হাতে জপের মালা এবং বাঁ হাতে কমণ্ডলু ধারণ করে আছেন।
পৌরাণিক মতে দেবী পার্বতীর দুর্গার রূপের নয়টি রূপকে নবদুর্গা নামে অভিহিত করা হয় ৷ এই নয় রূপ হল যথাক্রমে— শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী এবং সিদ্ধিদাত্রী ৷ প্রত্যেক শরৎকালে নবরাত্রির নয় দিনে প্রতিদিন দেবী পার্বতীর দুর্গা রূপের এই নয় রূপের এক এক দেবীকে পুজো করা হয় ৷ আসলে এই নয়টি রূপের স্বগুন বর্তমান দেবী পার্বতীর দুর্গা রূপের মধ্যে অন্তর্নিহিত হয়ে আসে। এই রূপে দেবী পার্বতী বধ করেছিলেন দুর্গম অসুরকে।
এবার জেনে নেওয়া যাক, আগামিকালের পুজোর সময়বিধি।
দ্বিতীয়া তিথি শুরু: ১৬ অক্টোবর রাত ১২টা ৩২ মিনিটে
দ্বিতীয়া তিথি শেষ: ১৭ অক্টোবর রাত ১টা ১৩ মিনিটে
আগামী নয় দিন নিয়ম মেনে এভাবেই নব দুর্গার পুজো করা হবে।