1/6 বাস্তুশাস্ত্রে নানান সমস্যা সমাধানে একাধিক প্রতিকার রয়েছে। তারইমধ্যে অন্যতম হল গাছ। বাস্তুশাস্ত্র মতে বলা হয়, বাড়িতে কিছু গাছ রাখলে তা যেমন বাড়িকে আনন্দে ভরিয়ে তোলে, তেমনই আবার এমন কিছু গাছ রয়েছে, যারা বাড়ির চত্বরে থাকলে, তা বিপদ ডেকে আনতে পারে। বলা হয়, মন্দিরে অশ্বত্থ গাছ থাকা শুভ। অশ্বত্থ গাছের ধর্মীয় গুরুত্বও প্রবল। তবে অশ্বত্থ গাছ বাড়ির ভিতর থাকলে তা শুভ কি? জেনে নেওয়া যাক।
2/6 অশ্বত্থ গাছ থাকা বাড়িতে কি শুভ- অনেকে মনে করেন, অশ্বত্থ গাছ থাকলে বাড়িতে পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। বাস্তুশাস্ত্রবিদরা মনে করেন, বাড়িতে অশ্বত্থগাছ থাকলে তা শুভ ফল দেয় না। যদিও গাছের ঐশ্বরিক ক্ষমতা অপার। বলা হয়, যে বাড়িতে অশ্বত্থ গাছ জন্মায় সেখানেই দারিদ্র্যের শিকড় গভীর হয়। এই গাছ বাড়িতে কী কী বিপদ ডাকতে পারে? রইল শাস্ত্রমত।
3/6 আর্থিক কষ্ট , একাকীত্ব- বাড়ির পূর্ব দিকে যদি অশ্বত্থ গাছ থাকে, তাহলে আর্থিক কষ্ট হতে পারে। এছাড়াও বলা হয়, বাড়িতে যদি অশ্বত্থ গাছ দেওয়ালে জন্মায়, তাহলে একাকীত্ব গ্রাস করতে পারে গোটা বাড়িকে। এমনকি বাড়ির সদস্যরাও একাকীত্বে ভুগতে পারেন।
4/6 অশ্বত্থের ছায়া কী শুভ- অশ্বত্থের ছায়া বা গাছের হাওয়া খুবই আরামদায়ক। তবে শাস্ত্রবিদরা বলছে, গৃহস্থের জন্য অশ্বত্থের ছায়া একেবারেই ভালো নয়। এতে বাড়ির অগ্রগতি রুখে যায়। ফলে প্রভাব পড়ে সদস্যদের কর্মজীবনে।
5/6 সন্তানের ক্ষেত্রে সমস্যা- বলা হয়, অশ্বত্থ গাছ সন্তানের ওপর প্রভাব ফেলে। পরিবারের বৃদ্ধিতে বাধা দান করে এই অশ্বত্থ গাছ। অশ্বত্থের ছায়া বাড়িতে পড়লে নানান রকমের বাধা আসে পরিবারে। তবে এই গাছ বাড়ির বাইরে থাকলে তা পুজো করা উচিত।
6/6 দেওয়ালে অশ্বত্থ গজালে কী করণীয়- বলা হয়, অশ্বত্থ গাছকে উপড়ে ফেলতে নেই। তাই তা বাড়িতে গজিয়ে উঠলেও তার মূল ছিন্ন না করা উচিত। কারণ এই গাছের মূলে ব্রহ্মা বসবাস করেন, বলে মনে করা হয়। এই গাছ পুজো করে একটি টবে তুলে নিয়ে গিয়ে কোনও মন্দিরে বসিয়ে আসার পরামর্শ দিচ্ছেন শাস্ত্রজ্ঞরা। এই গাছ কাটলে পূর্বপুরুষরা অসন্তুষ্ট হন বলে মনে করা হয়, তাছাড়াও দাম্পত্য জীবনে আসে বাধা, সন্তানকেও সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলে মনে করা হয়। বলা হচ্ছে, বাড়িতে এই গাছ গজিয়ে উঠলে তাকে ৪৫ দিন ধরে কাঁচা দুধ দিয়ে পুজো করে তা মন্দিরে রেখে আসা যায়। তবে শিকড় যেন না কাটে সেদিকে রাখবেন নজর। (এই তথ্য মান্যতা নির্ভর। এর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। )