প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তারপর অনুব্রত মণ্ডল। শাসকদলের দুই হেভিওয়েট জেলে যেতেই বিজেপির তরফে বহু নেতা রব তুলেছিলেন, ‘তৃণমূলের সবাই চোর’ বা ‘তৃণমূলের ৯৯ শতাংশ নেতা চোর’। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে প্রস্তাবের পক্ষে বলতে গিয়ে পালটা প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আমরা সবাই চোর?’ আর সেই কথার রেশ টেনেই মঙ্গলবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি বললেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী গতকাল বিধানসভায় প্রশ্ন করেছিলেন, আমরা সবাই চোর? আমি বিশ্বাস করি, আপনারা সবাই চোর নন।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় ‛দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিসক্যাল রেসপন্সিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট (দ্বিতীয় সংশোধনী) বিল ২০২২’ নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। সেই সময়ই অশোক লাহিড়ি মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্নের রেশ টেনে এই মন্তব্য করেছিলেন। পরে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে এসে তিনি নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন। বলেন, ‘শাসক দলের ২১৩ জন বিধায়ক আছেন। আমি কীভাবে ভাবি যে তাঁদের সবাই চোর? প্রমাণ না হলে, কীভাবে বলা যায় যে তাঁরা চোর। দুই-তিন জন জেলে গিয়েছেন। তাতে সবাই চোর কেন হবেন?’
অশোকবাবু মঙ্গলবার আরও বলেন, ‘বাঙালি সহজাতভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। যে সব বিষয় সামনে এসেছে, তা দূর করতে হবে। জনগণ দুর্নীতি চায় না। কারণ, দুর্নীতিতে জনগণের খরচ বেড়ে যায়। দুর্নীতি অনেকটা ঘুনের মতো। একবার ধরলে, রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়ে। এই দুর্নীতি দূর করা দরকার। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যখন এই সরকারকে এনেছিল, তখন এই সরকার পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই দাবিগুলির উপর অনেকটাই ছায়া পড়েছে। যে সব কারণে এই দুর্নীতির প্রকোপ বেড়েছে তা দূর করা একান্ত দরকার। দুর্নীতির বিষয়ে জনতা খুবই চিন্তিত। এর একটি প্রতিফলন তো পঞ্চায়েত ভোটে হওয়া স্বাভাবিক।’