তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়ার সোনামুখী। দু'পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় মোট ১১ জন আহত হয়েছেন। এলাকায় গিয়ে গো-ব্যাক স্লোগানের মুখে পড়েন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী।
রবিবার সন্ধ্যায় মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের কাষ্ঠডাঙ্গা গ্রামে বিজেপির একটি কর্মসূচি ছিল। সেইমতো সেখানে আসেন বিজেপি বিধায়ক। পরে এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি যাওয়ার পথে বিধায়ককে লক্ষ্য করে গো-ব্যাক স্লোগান দেন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। তার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। লাগাতার গো-ব্যাক স্লোগানের মধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সহায়তায় এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যায় বিজেপি বিধায়কের গাড়ি। তারপরই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীরা। দফায় দফায় সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ঘটনায় তৃণমূলের চারজন কর্মী আহত হয়েছেন। বিজেপিরও সাতজন কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। তাঁদের প্রাথমিকভাবে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
দিবাকরের দাবি, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে গো-ব্যাক স্লোগান দেন। বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। একইসুরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, 'সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী আজ মানিকবাজার পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত। বিজেপির সাতজন কর্মী এই হামলায় গুরুতরভাবে আহত হয়ে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজে এবং হাসপাতালে ভরতি আছেন। পরিবেশ এতটাই ভয়াবহ যে পরাজিত মুখ্যমন্ত্রীর (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) জঙ্গলরাজে একজন বিধায়ক ও সুরক্ষিত নন।'
যদিও হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। বরং শাসক দলের কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি কর্মীদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দিবাকর। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় রবিবার বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের থামাতে গেলে তৃণমূলকর্মীদের মারধর করা হয়েছে।