এক গৃহবধূর ছবি ব্যবহার করে সোশাল মিডিয়ায় ভু্য়ো অ্যাকাউন্ট খুলে কুপ্রস্তাব এবং অশ্লীল মেসেজ ছাড়ার অভিযোগ উঠল। ওই গৃহবধূকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কলগার্ল বলে প্রচার পর্যন্ত করা হয়েছে। আর মহিলার এবং স্বামীর মোবাইল নম্বর সেখানে দিয়ে দেওয়ায় নানা কুপ্রস্তাব আসতে শুরু করে বলে অভিযোগ। একাধিক নম্বর থেকে লাগাতার কুপ্রস্তাব আসতে থাকে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূ। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ঠিক কী অভিযোগ গৃহবধূর? একাধিক কুপ্রস্তাব আসতে থাকায় চরম বিড়ম্বনায় পড়ে গৃহবধূ। তাঁর অভিযোগ, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কেউ ছবি ডাউনলোড করে তা দিয়ে অন্য অ্যাকাউন্ট খুলে সেই ছবি লাগিয়ে কলগার্ল বলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনকী একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে আপত্তিজনক চ্যাট পর্যন্ত করা হয়েছে। এমনকী কলগার্ল হিসেবে ছবি দিয়ে মোবাইল ফোন নম্বর শেয়ার করে দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ৷ রাত–বিরেতে যখন তখন ফোন করা হচ্ছে ৷ ফোনে অশ্লীল মেসেজ পাঠানো হচ্ছে ৷ কুপ্রস্তাবও দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, গৃহবধূর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ কে বা কারা কী উদ্দেশে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করা হচ্ছে। যারা ফোন করে কুপ্রস্তাব দিয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি চ্যাট সামনে এসেছে। ফেসবুকে থাকা তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখানে একাধিক ব্যক্তি সহবাস করার প্রস্তাব দিয়েছে। আবার কেউ দর জানতে চেয়েছে। যা সত্যিই অপরাধ। গৃহবধূর লিখিত বয়ান নেওয়া হয়েছে। আর বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
ঠিক কী বলছেন গৃহবধূ? এই ঘটনা নিয়ে গৃহবধূ সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন। ওই গৃহবধূ বলেন, ‘আমার ছবি দিয়ে একটা ছেলে ফেক অ্যাকাউন্ট খুলেছে। আমার নাম ব্যবহার করে খারাপ চ্যাট করছে। আমার অন্য ছবিও ফেসবুকে ছাড়ছে। আমার স্বামীর মোবাইল নম্বরও দেওয়া হচ্ছে। ওর হোয়াটসঅ্যাপেও খারাপ ছবি আসছে। নানা কুপ্রস্তাবও দেওয়া হচ্ছে। অনেক নম্বর থেকে আমার স্বামীর কাছে ফোনও আসছে। আমার ছবি ভাইরাল করারও ভয় দেখানো হচ্ছে। আমাকে কলগার্ল হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। আমি চাই ওই ছেলেটার শাস্তি হোক। নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’