এবার বৌদির ঘরে মিলল দেওরের রক্তাক্ত মৃতদেহ। এখানে বৌদির সঙ্গে দেওরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উঠে এসেছে। প্রায়ই দুপুরে বৌদির বাড়িতে আসত দেওর। তারপর দীর্ঘ সময় কাটিয়ে সন্ধ্যে নাগাদ সেখান থেকে চলে যেত বলেই সূত্রের খবর। কিন্তু আজ, শনিবার সকালে সেই বৌদির ঘর থেকেই মিলল দেওরের রক্তাক্ত মৃতদেহ। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের খড়িবাড়ি ব্লকের বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাপিণ্ডিতে এখন এটাই চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছে না সেই বৌদির।
ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত দেওরের নাম মুতঙ্গরাম মুর্মু (৩০)। শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে তিনি বেরিয়ে ছিলেন। তারপর বৌদি লক্ষ্মী মুর্মুর বাড়িতে গিয়েছিলেন দেওর মুতঙ্গরাম। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। আজ, শনিবার সকালে লক্ষ্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় মুতঙ্গরামের রক্তাক্ত দেহ। তাঁর মাথায়, কানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে লক্ষ্মী বৌদি পলাতক। তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলে যায় খড়িবাড়ি থানার পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে শিলিগুড়িতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, তিন বছর আগে মুতঙ্গরামের দাদার মৃত্যু হয়। তখন থেকেই দেওর–বৌদির মধ্যে ‘ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক’ গড়ে ওঠে। প্রায় দুপুরে লক্ষ্মীর বাড়িতে আসত দেওর। তারপর ওই বাড়ি থেকে হাসির আওয়াজ থেকে শুরু করে নানা আওয়াজ বাইরে আসত। তবে সেটা এত আসতে যে বাড়ির কাছ দিয়ে না গেলে সহজে শোনা সম্ভব নয়। এমন আওয়াজ শুনেছে দু’একজন। তবে পারিবারিক বিষয়ে কেউ নাক গলায়নি। দেওর মুতঙ্গরাম বৌদিকে টাকা দিত বলেও জানে অনেকে। সম্প্রতি লক্ষ্মীর জীবনে আর এক পুরুষ আসে। তারপরই দেওরকে সরিয়ে দেওয়া হল বলে মনে হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী এই দেওর–বৌদির সম্পর্ক নিয়ে বলেন, ‘ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই মুতঙ্গরামকে খুন করা হয়েছে। রাতে দেওর এসেছিল বৌদির বাড়িতে। ইদানিং অনেক লোকই এই বাড়িতে আসত। সেটা দেখাও যেত। আজ, সকালে শুনতে পাই ওই বাড়িতে খুন হয়েছে। লক্ষ্মী এই বাড়িতে একাই থাকত। মুতঙ্গরাম মাঝে–মাঝে এসে থাকত। সম্প্রতি আরও এক যুবককে এখানে দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল। এটা খুন ছাড়া আর কিছু নয়।’