তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া
সিআরপিএফ জওয়ানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। একটি মারধরের মামলায় সিআরপিএফ জওয়ানকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় তাঁকে খুনের মামলার ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে কোচবিহারের সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়ার বিরুদ্ধে। তবে সিআরপিএফ জওয়ানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিধায়ক। তাঁর বক্তব্য, ওই জওয়ান মারধরে জড়িত ছিলেন বলেই তাঁর নামে মামলা করা হয়েছে। এটি কোনও মিথ্যা মামলা নয়।
আরও পড়ুন: অকারণে শ্লীলতাহানির অভিযোগ যোগ করে হাইকোর্টে ধমক খেলেন পুলিশ অফিসার
জানা গিয়েছে, ওই সিআরপিএফ জওয়ানের নাম বিশ্বজিৎ বর্মণ। তিনি কোচবিহারের সিতাইয়ের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী বিজেপি করেন। মায়ের অসুস্থতার কারণে গত ১ জানুয়ারি ছুটিতে বাড়ি আসেন। পরে আরও কিছুদিন ছুটি বাড়িয়ে নেন। জানা যাচ্ছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সিতাইয়ের বালাপুকুরিতে একটি রামমন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। সেই অনুষ্ঠান শেষে নিজের কনভয় নিয়ে বেরিয়ে পড়েন নিশীথ প্রমাণিক। তার পিছনে একটি বাইক মিছিল হয়। সেখানে হাজির ছিলেন বিশ্বজিৎ। অভিযোগ ওঠে, ওই বাইক মিছিল থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা জগদীশের ছেলে কুন্তল এবং তাঁর বন্ধু প্রত্যয় বর্মনের উপর হামলা চালায়। সে ক্ষেত্রে কুন্তল সেখান থেকে পালিয়ে গেলেও প্রত্যয়কে তারা ধরে মারধর করে। সেই মারধরের ঘটনায় ১৮ জন বিজেপি কর্মী সমর্থকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। তাতেই বিশ্বজিতের নাম রয়েছে বলে অভিযোগ।
তবে বিশ্বজিৎ বাবুর পালটা অভিযোগ, তিনি রাজনীতি করেন না। তাঁর স্ত্রী বিজেপি করেন। সেই জন্যই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার নিজের দাবি স্বপক্ষে মোবাইলের একটি কথোপকথন তুলে ধরেন জওয়ান (কথোপকথনের সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা)। জানা গিয়েছে, জওয়ানের স্ত্রী বিউটি বর্মণ বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য। বিশ্বজিৎ ১৬ বছর ধরে সিআরপিএফে চাকরি করছেন। কয়েক দিনের মধ্যে তিনি ডিউটিতে যোগ দেবেন। কিন্তু, তার আগে এমন ঘটনায় চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছেন সিআরপিএফ জওয়ান। যদিও মিথ্যা খুনের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, তিনি এই ধরনের কোনও হুমকি দেননি। বরঞ্চ তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে আধা অমরিক বাহিনীতে থেকে রাজনীতি করা ঠিক নয়। সেক্ষেত্রে যে মামলায় জড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই উপদেশ দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সিআরপিএফ জওয়ান। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।