শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। প্রচন্ড যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন বাগটুইকাণ্ডে অন্যতম জখম মহিলা নাজমা বিবি। সোমবার হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনকই ছিল। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে।এদিকে এতটাই শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক ছিল যে কলকাতায় চিকিৎসার জন্যও নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। রামপুরহাট হাসপাতালেই তাঁর যাবতীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এদিনই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এদিকে নাজমা বিবিকে নিয়ে মোট তিনজন ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হল এদিন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অপর একজনের মৃত্যু হয়েছে এদিন।
পাশাপাশি তাঁর দেহ ময়নাতদন্ত করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিবিআই নাকি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে সেটা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এদিকে আহতদের বয়ান রেকর্ড করতে সিবিআই আধিকারিকরা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু নাজমা বিবির শারীরিক পরিস্থিতি অত্যন্ত আশঙ্কাজনক ছিল। তবে নাজমা বিবির মৃত্যুর আগেই তাঁরই আত্মীয় মিহিলাল শেখ জানিয়েছিলেন, হয়তো নাজমা বিবি আর ফিরে আসবেন না।
এদিকে বগটুইকাণ্ডে সিবিআই একেবারে জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে। মৃতের আত্মীয় মিহিলাল শেখ সহ অপর কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছে সিবিআই।