আজ, শনিবার আসানসোলের বিশেষ আদালতে জামিনের আবেদন করলেন অনুব্রত মণ্ডল। এদিন তাঁর ১০ দিনের সিবিআই হেফাজত শেষ হয়েছে। তারপরই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে জামিনের আবেদন জানালেন তাঁর আইনজীবী। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করা হয় অনুব্রত মণ্ডলের। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এজলাসে জামিনের আবেদন দাখিল করতেই বিরোধিতা করে সিবিআই। এদিন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের মামলা শুনানি শুরু হতেই সরগরম হয়ে ওঠে গোটা এজলাস। যেখানে জোর সওয়াল–জবাব চলে।
কেমন সওয়াল–জবাব হয়েছে? এদিন গরু পাচার কাণ্ডে আসানসোল আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। তখনই সিবিআইয়ের আইনজীবী অনুব্রত মণ্ডলকে আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে বলে জামিনের বিরোধিতা করেন। এমনকী আরও চারদিনের হেফাজতের আবেদন জানায় সিবিআই। যার পাল্টা বিরোধিতা করেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী।
তারপর ঠিক কী হল? এই সওয়াল–জবাব রীতিমতো বাদানুবাদে পরিণত হয়। এই পরিস্থিতিতে অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ ছিল গরু পাচার-কাণ্ডে ধৃত এনামূল হকের। এমন দাবি করেছে সিবিআই। যদিও এই অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই বলে জানান অনুব্রতের আইনজীবী। বরং পাল্টা অনুব্রতর আইনজীবী চালকল বিতর্ক প্রসঙ্গে আদালতে বলেন, ‘বহু বছর আগে রাইস মিল ওঁর শ্বশুর ওঁকে উপহার হিসাবে দিয়েছেন যথেষ্ট সহযোগিতা করা হচ্ছে। তবুও অসহযোগিতার অভিযোগ করা হচ্ছে। তাই অবিলম্বে জামিন দেওয়া হোক।’
অনুব্রত মণ্ডলের দাবি কী? বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দাবি করেন, ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে যে যাই দাবি করুক, তাঁর কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই। এমনকী তদন্তে সিবিআইকে চিনি একশো শতাংশ সহযোগিতা করছেন। সিবিআই সব তদন্ত করে দেখুক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন বলেও দাবি করেন অনুব্রত। সেখানে আজ সিবিআইয়ের আইনজীবী সায়গল সরাসরি অনুব্রতের কথায় গরু পাচারে যুক্ত বলে সওয়াল করেন। তখন পাল্টা অনুব্রতের আইনজীবী এই অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই বলে আদালতে দাবি করেন।