সামনে আছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী। কিন্তু তাঁদের টপকে করোনাভাইরাস টিকা দিয়ে দিলেন আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তবস্সুম আরা। তাঁর হাতে আবার সিরিঞ্জ তুলে দিলেন নার্স। তা নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে। সমালোচনা করেছে বিজেপিও। যদিও তবস্সুমের দাবি, তিনি স্রেফ হাতে সিরিঞ্জ ধরেছিলেন। টিকা দেননি।
যৌনকর্মীদের জন্য সীতারামপুরে একটি টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করেছে পুরনিগম। শনিবার সকালে সেখানে যান প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তথা পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য। সেখানে গিয়ে আচমকাই সিরিঞ্জ নিয়ে এক মহিলাকে টিকা দেন। তখন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। টিকা দেওয়ার পরেই সরে যান তবস্সুম।
বিষয়টি সামনে আসার পরই বিতর্ক শুরু হয়। টুইটারে তবস্সুমের টিকা দেওয়ার ভিডিয়ো পোস্ট করে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, প্রশাসকদের উপর তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের তবস্সুম আরা নিজেই মানুষকে টিকা দিয়েছেন। শয়ে শয়ে মানুষের জীবনকে ঝুুঁকির মধ্যে ফেলেছেন। যিনি আসানসোল পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য। রাজনৈতিক রঙের জন্য কি কঠোর শাস্তি থেকে রক্ষা পাবেন তিনি?’
শুধু বিজেপি নয়, ঘুরিয়ে তবস্সুমের কীর্তির সমালোচনা করেছেন আসানসোল পুরনিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক দীপক গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, এভাবে টিকা দেওয়া মোটেও নিয়ম নয়। স্বাস্থ্যকর্মীদেরই টিকা দেওয়া উচিত। একইসুরে পশ্চিম বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনীকুমার মাজি জানান, অন্য কারও টিকাপ্রদান করা উচিত নয়। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূলও।
যদিও তবস্সুমের দাবি, তিনি নাকি টিকা দেননি। স্রেফ সচেতনতা বাড়ানোর জন্য সেই শিবিরে গিয়েছিলেন। আর সিরিঞ্জ নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, ‘স্কুলের সময় নার্সিং কোর্স করেছিলাম। পুরো শেষ করেছিলাম।’