দেশের তৈল মানচিত্রে জায়গা করে নিল পশ্চিমবঙ্গ। রবিবার অশোকনগরের বাইগাছিতে বাণিজ্যিক তেল উত্তোলন কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। রাজ্যের সেই প্রথম তৈলকূপ প্রকল্পকে দেশের উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন তিনি।
২০১৮ সালে অশোকনগরে তৈলকূপের সন্ধান মিলেছিল। সেখান থেকে ইতিমধ্যে উত্তোলিত তেলের বিক্রি শুরু করেছে ওএনজিসি। হলদিয়ায় ইন্ডিয়ান অয়েলের শোধনাগারে প্রায় ৩০,০০০ লিটার অপরিশোধিত তেল পাঠানো হয়েছে। যে তেলের গুণমান অত্যন্ত ভালো বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
সেই প্রকল্পে ইতিমধ্যে ৩,৩৮১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। আগামিদিনে আরও ৪২৫ কোটি টাকা ঢালা হবে। একইসঙ্গে আরও কূপের খনন করা হবে। বাণিজ্যিকভাবে শুরু হবে গ্যাস উত্তোলন। পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী বলেন, ‘২০২২ সালের মধ্যে তেল আমদানি ১০ শতাংশ কমানোর যে ডাক দিয়েছেন, সেই প্রতিজ্ঞা পূরণের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে এই প্রকল্প।’
আগামী বছর বিধানসভা ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেছেন, সেই প্রকল্পের ফলে স্থানীয় অর্থনীতির কাঠামো পালটে যাবে। রাজ্যের আয় বাড়বে। বাণিজ্যিকভাবে গ্যাসের উত্তোলন শুরু হলে রাজ্যের কোষাগার ভরে যাবে। একইসঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অসংখ্য কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রকল্পে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিধানসভা ভোটের আগে সেই আশ্বাস নিয়ে বিজেপি যে প্রচারে নামবে, তা কার্যত নিশ্চিত বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
প্রকল্পের আশপাশের এলাকায় যাঁরা জমি হারিয়েছেন, তাঁরাও চাকরির দাবি তুলছেন। ক্ষতিপূরণেরও দাবি জানিয়েছেন। যদিও তাঁদের অভিযোগ, পেট্রোলিয়ামমন্ত্রীকে সেই বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করা হলেও অনুষ্ঠানস্থলের ধারেকাছে যেতে দেওয়া হয়নি। তাত্পর্যপূর্ণভাবে সেই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই স্থানীয়দের তেল এবং গ্যাস উত্তোলনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার আর্জি জানান। কারণ সেই প্রকল্পের ফলে স্থানীয়রা লাভবান হবেন বলে দাবি করেছেন পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী।